বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে আজ ৮ মার্চ ২০২৪, জুমাবার রাজধানীর ডেমরার স্থানীয় একটি মিলনাতায়নে ইউনিট দায়িত্বশীলদের নিয়ে দা’ঈ শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির। মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও ডেমরা পশ্চিম থানা আমীর মুহাম্মাদ বাইজিদ হাসানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মোহাম্মদ বেলালের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থানার সেক্রেটারি শাফিউল আলম সহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সবুর ফকির বলেন, ইউনিট হল সংগঠনের শিকড়, তাই এই শিকড় যত মজবুত হবে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো তত মজবুত হবে। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তির কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় ইসলামের সু-মহান আদর্শের দাওয়াত ও ইকামাতে দ্বীনের কথা মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অধিক সংখ্যক মানুষের বসবাস। ফলে এখানে কাজ করতে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। তাই আল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে সবর ও সাহসিকতার মাধ্যমে দ্বীনের দা’ঈদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, মানুষের হেদায়াতের জন্য ইউনিট দায়িত্বশীলদের আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ইউনিট হল এক একটি মসজিদের মতো যেখান থেকে দাওয়াতের আজান সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইউনিট দায়িত্বশীলদের ভূমিকা মোয়াজ্জিনের মত। মুয়াজ্জিনরা ঘুমিয়ে থাকলে যেমন আল্লাহু আকবারের ধ্বনি সমাজের মানুষের কর্ণ কুহরে পৌঁছাবে না তেমনি ইউনিট দায়িত্বশীলরা নিষ্ক্রিয় থাকলে দাওয়াতী কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। আমাদের সামনে রহমত, বরকত, নাজাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমাদান উকি দিচ্ছে। এই মহিমান্বিত মাসকে যথাযথভাবে আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। কুরআন নাজিলের মাসে কুরআনের বিধানকে সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়নের জন্য ইউনিট দায়িত্বশীলদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।