বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, দেশজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। উত্তরাঞ্চলে হিমালয়ের নিকবর্তী হওয়ায় বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও-সহ আশেপাশের জেলা সমূহে শীতের প্রকোপ খুব বেশি বেড়ে গেছে। এতে করে সমাজের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো স্বাভাবিকভাবে নিজেদের কাজ কর্ম করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তারা অত্যন্ত কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন। তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। গতকাল রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটাই চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সঙ্গে উত্তরের বাতাস থাকায় দেখা দিয়েছে কনকনে ঠান্ডা বা শীত। তীব্র শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সাথে দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ। এই দুর্যোগ মুহুর্তে সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই।
ঠাকুরগাঁও জেলায় আয়োজিত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ, অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানের পৃথক ৩টি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা মো. দেলাওয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। এসব প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, ঠাকুরগাঁও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মতিউর রহমান, ছাত্রশিবিরের ঠাকুরগাঁও শহর সভাপতি এস এম আদিউল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, জনগণের কল্যাণে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশজুড়ে সার্বিক সেবা সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। যদিও বর্তমানে দেশে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে জুলুম নির্যাতন, হিংসা বিদ্বেষ, স্বৈরাচারী সরকারের কালো থাবা চেপে বসেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সমাজ-দেশ-রাষ্ট্রে সৎ নেতৃত্ব। সমাজে চেপে বসা জুলুম নির্যাতনের বিপরীতে সুখ শানিমশ প্রতিষ্ঠা, সুন্দর ও আধুনিকায়ন ঠাকুরগাও শহর গড়তে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। যেকোনো দুর্যোগ-দুর্ভোগে জামায়াত সবার আগে মানুষের পাশে ছুটে যায়। বিগত বছরেও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বন্যাসহ নানা দুর্যোগে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সহায়তা তুলে দিয়ে এসেছেন। সেই সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দ ঠাকুরগাঁও-কুড়িগ্রামসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন জেলায় মানুষের জন্য সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ছুটে গেছেন। এসব জাতীয় নেতৃবৃন্দকে আজ সম্পূর্ণ মিথ্যা-কাল্পনিক অভিযোগে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশের এই দুর্দিনে আমরা তাদের মুক্তি দাবি করছি। জামায়াত নেতৃবৃন্দকে জনগণের সেবায় পাশে থাকার সুযোগ দিন।
তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো কাজ নেই। জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) থেকে নির্বাচিত হয়ে এলাকার কল্যাণে সেসব নেতাদের ভূমিকা দেখা যায় না। আমরা ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) এলাকার জনগণের কল্যাণে ও জীবনমান উন্নয়নে যথাযথভাবে পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মানুষের সেবায় কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) সংসদীয় আসনে ভোট প্রদানের মাধ্যমে এলাকার জনগণ তাদের সঠিক নেতৃত্ব খুঁজে নিবে। ঠাকুরগাঁও-এ আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জনগণের কল্যাণে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছি। এসময় তিনি শীতার্ত মানুষের সেবা-সহযোগিতায় সমাজের বিত্তবান ও নানা শ্রেণিপেশার সব জনগণকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান।