বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে রিকশা-ভ্যান সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ ১৬ ডিসেম্বর এই রিকশা-ভ্যান সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য যথাক্রমে খিলগাঁও পুর্ব থানা আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান, খিলগাঁও পশ্চিম থানা আমীর এস এম জুয়েল, সবুজবাগ দক্ষিণ থানা আমীর আব্দুল বারী, শাহজাহানপুর থানা আমীর শরিফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ১৯৭১ সালে সম্মুখ যুদ্ধের মাধম্যে আমরা বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আজও আমরা বঞ্চিত। ক্ষমতাসীনদের ফ্যাসিবাদী আচরণে বিজয় ও স্বাধীনতার মূল অর্জন গণতন্ত্রকে হারিয়ে দেশ আজ অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস লড়াই করে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র পেয়েছি। কিন্তু মহান বজয়ের ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জাতি আজ এমন এক সময় মহান বিজয় দিবস পালন করছে যখন দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার মূলনীতি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার আজ এক দুঃস্বপ্নের নামমাত্র। একদলের গণতন্ত্র এখন সাম্যের উদাহরণ। খুন, গুম ও সীমাহীন ধর্ষণের দেশে মূল্যবোধ খোঁজ করাই এখন যেন অপরাধ। তাই এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থে দল মত ভেদাভেদ ভুলে বিজয়ের এই দিনে সকলকে সেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ অভাব অনটনে বেশ কষ্টে দিন যাপন করছেন। করোনার কারনে দিনমজুর, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়িদের আয় হ্রাস পেয়েছে এবং দীর্ঘদিন কাজের পরিবেশ না থাকায় চাকুরী হরিয়ে একটি অংশ বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপনে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল ও আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। তাই আমরা এসব মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বেকারত্ব দুরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ। মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামী কর্মসুচী আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।