জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, রাসূল (সা.) এর মিরাজ ইসলামের ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলোর অন্যতম। কুরআন ও মিরাজ রাসূল (সা.) এর উল্লেখযোগ্য মো’জেজা। এদিনে বায়তুল মাকদাসে সকল নবী-রাসুলগণের ঈমামতির মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল(সা.)-এর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন এবং বায়তুল মা’মুরে ফেরেস্তাগণের ঈমামের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তাঁকে সৃষ্টি জগতে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। মূলত পবিত্র মিরাজের মাধ্যমে রাসূল (সা.) আমাদের জন্য যে দিকনির্দেশনা রয়েছে তা যথাযথ পালনের মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। তিনি মিরাজের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে জীবন গঠনের আহ্বান জানান।
আজ রবিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, জামায়াত নেতা মুতাসিম বিল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ের এই অশান্ত পৃথিবীকে শান্তির পয়গাম দিয়ে যায় রাসূলের (সা) পবিত্র শবে মে’রাজ। এই মহিমান্বিত রজনীতে আল্লাহ তা’য়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। নামাজ মানুষকে যাবতীয় অশ্লীলতা ও অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। ফলে মুসলিম জীবনে নামাজের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নামাজ আমাদের সকল বিভেদ ভুলে পারস্পরিক ঐক্য, নেতৃত্বের আনুগত্য ও সামাজিক শৃংখলা শিক্ষা দেয়। তাই একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নামাজের ভূমিকা অপরিসীম।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মিরাজের প্রতিটি পর্যায়ে রাসূল(সা.) কে সম্মানিত করা হয়েছিল। তাঁকে প্রতিটি আসমানে নবী-রাসূল ও ফেরেস্তাগন অভ্যর্থনা জানান। আমরা এই বিশ্বনবীর উম্মত হিসাবে গর্বিত। মূলত রাসূলকে (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সরাসরি প্রত্যক্ষ ও উপলব্ধি করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে এই অলৌকিক মোজেজার মাধ্যমে উর্দ্ধলোকে গমন করান। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শবে মেরাজের সত্যতা পৃথিবীবাসীর কাছে আরোও স্পষ্ট হচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, সমাজের সকল স্তরে আল্লাহর দাসত্ব প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজে এত অশান্তি। আল্লাহ শবে মেরাজে রাসুল (সা.)কে ১৪টি মূলনীতি দেন। এর একটি ছাড়া বাকি ১৩টিই সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত। শবে মেরাজের ১৪ দফা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রয়োজন। এর ভিত্তিতেই রাসুল (সা.) মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে আল্লাহ আমাদের জন্য যে ১৪ দফা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তা যথাযথভাবে অনুসরণ করে বিশ্বমানবতার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধনের জন্য আমাদেরকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি সকলকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।