শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ও শিক্ষক সমাজের যৌক্তিক দাবি পূরণের লক্ষ্যে পরামর্শমূলক প্রস্তাবনা নিয়ে সোমবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে জামায়াত নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগের সদস্য সচিব ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ফজলুল করিম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক নুর নবী মানিক, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কোরবান আলী।


বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকসংক্রান্ত, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সংক্রান্ত, এমপিও-ননএমপিও, শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা এবং শিক্ষকদের অবসর ভাতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পরামর্শমূলক একটি লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার আমাদের প্রস্তাবনাগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন এবং তিনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। ড. মাসুদ বলেন, বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার গদির জন্য শুধুমাত্র শিক্ষকদের ব্যবহার করেছে। কিন্তু শিক্ষক সমাজ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তাদের যৌক্তিক দাবি রাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করলেও আওয়ামী সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং দেখা গেছে শিক্ষকদের ‘জামায়াত-শিবির’ ট্যাগ দিয়ে হামলা-মামলা দিয়ে জুলুম, নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে। বহু শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শিক্ষকদের হয়রানির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির স্বপক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।