‘‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূল (সাঃ) এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর সকল থানা সমুহে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর সিরাতের উপর বই পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজকে অনুষ্ঠিত “ক” গ্রুপের প্রতিযোগিতায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রায় কয়েক হাজার জনশক্তি অংশ গ্রহন করে। ‘ক’ গ্রুপের জন্য নির্ধারিত বই ছিল ‘মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)ও ‘রাসূল (সাঃ)এর মক্কার জীবন”। ক ও খ ২টি গ্রুপে বিভক্ত এই সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রতি গ্রুপে বিজয়ী ১ম স্থান অধিকারীকে ১৫ হাজার টাকা, ২য় স্থান অধিকারীকে ১০ হাজার টাকা, ৩য় স্থান অধিকারীকে ৫ হাজার টাকা, ৪র্থ স্থান অধিকারীকে ৪ হাজার টাকা এবং ৫ম স্থান অধিকারীকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি থানায় প্রথম ০৫ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হবে।
পরীক্ষা চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাওঃ ফরিদুল ইসলাম, দেলওয়ার হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল জব্বার, আ.জ.ম রুহুল কুদ্দুস সহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
হল পরিদর্শন শেষে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, একমাত্র রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ ও কর্মপন্থা অনুসরণের মাধ্যমেই দূর্ণীতি মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তাঁর কর্মপন্থা অনুসরণের মধ্যেই মানবতার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি ঐশী বাণী পেয়ে জাহেলিয়াতের আঁধার কেটে সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের পূর্বে তিনি মানব গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যার ফলে আবুবকর, ওমর, ওসমান ও আলী (রাঃ) এর মত মানুষেরা তৈরি হয়েছিলেন। যারা বিশ্বজুড়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। রাসুল (সাঃ) এর চেতনাকে আঁকড়ে ধরেই আমাদের দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব। কাজেই রাসুল (সাঃ) এর আদর্শের আলোকেই আমাদের জীবনকে গড়ে তুলতে হবে।