রাজধানীতে ৪ জন জামায়াত কর্মীর ইন্তেকালে – নুরুল ইসলাম বুলবুলের শোক

এক যৌথ শোকবার্তায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ মরহুম ও মরহুমাদের কথা স্মরণ করে এই শোক প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোআ করেন, আল্লাহ যেন মরহুম ও মরহুমাদের নেক আমল সমূহ কবুল করে তাদেরকে জান্নাতবাসী করেন এবং তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে সবর করার তৌফিক দান করেন।

মরহুম শফিকুর রহমান রবিবার দিবাগত রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে সহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। সোমবার মরহুমকে ঝালকাঠীর গ্রামের বাড়ীতে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মরহুম সাইয়েদ তালহা রোববার সন্ধা ৭ টায় হাজারীবাগস্থ এনায়েতগঞ্জ নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি প্যারালাইজড সহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার সকাল ১০টায় মরহুমের নিজ এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মরহুমা মনোয়ারা বেগম রবিবার দিবাগত রাত ১০.৩০ টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। দীর্ঘ দিন যাবৎ বার্দক্য জনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ১ মেয়ে ও ২ ছেলে সহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। নবাবগঞ্জ থানার শিকারী পাড়া ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের নিজ বাড়ীতে সোমবার ১১.৩০ টায় নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মরহুমা মোসাম্মৎ নিনা বেগম রবিবার দিবাগত রাত ৩.৩০ টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কামরাঙ্গিরচর বোনের বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি একমাত্র মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।