মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, হিজরতের কিছু দিন আগে মেরাজের সুমহান ঘটনাটি ঘটে নবীজীবনে। একটি সৃজিত জাতির জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণের যাবতীয় কর্মকান্ডের বাস্তব প্রশিক্ষণই ছিল এই মহামিলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো রাসূল (সা)কে এই রজনীতেই অবহিত করা হয়। বস্তুত মিরাজই হলো ইসলামি গতিধারার মূল উৎস। তাই মুসলিম জাতিসত্তার জন্য নবীজীবনের মিরাজ এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়।
শবে মিরাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, তাওহিদের নির্দেশাবলির বাস্তব ও চাক্ষুষ প্রমাণ দেখিয়ে দেয়ার জন্য এবং এই বিশ্বের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব যে মহান আল্লাহরই, তা সরাসরি দেখানোই মিরাজের উদ্দেশ্য। আল্লাহর এই আয়াত ও নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার বা চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। অতএব, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দ্বীনের বিজয় ঠেকানোর সাধ্যও কারো নেই। এই আস্থা ও বিশ্বাস মজবুত এবং সুদৃঢ় করাই মিরাজের মূল লক্ষ্য। আল্লাহ তা’য়ালার একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, ঊর্ধ্বলোক সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা, ইহকাল, পরকাল, নভোমন্ডল, বেহেশত, দোযখ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করাও মিরাজের অন্যতম উদ্দেশ্য। সর্বোপরি মদিনার ভাবী ইসলামি রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ার উদ্দেশ্যেই মহান স্রষ্টা তাঁর প্রিয় হাবীবকে সান্নিধ্যে টেনে নিয়েছিলেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বর্তমান সময়ের এই অশান্ত পৃথিবীকে শান্তির বার্তা দিয়ে যায় রাসূলের (সা) শবে মে’রাজ। এই মহিমান্বিত রজনীতে আল্লাহ তা’য়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নামাজের ভূমিকা অপরিসীম। কারণ নামাজ মানুষকে যাবতীয় অশ্লীলতা ও অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। তাই আমাদের উচিৎ যথাযথ ভাবে হক আদায় করে নামাজ আদায় করা। তিনি আরো বলেন, শবে মে’রাজের শিক্ষার আলোকে যদি সমাজ বিনির্মাণ করা হয় তবে বাংলাদেশ থেকে সকল অন্যায়, জুলুম, দুর্নীতি ও অশান্তি দূর করে দেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব হবে ইনশা’আল্লাহ।