অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলেনর অন্যতম পুরোধা। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ডাকসুর জিএস হিসাবে লিয়াকত আলীর খানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। মূলত ইসলমপন্থীরাই ছিলেন ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বে। কিন্তু আজ অবৈধ সরকার ইতিহাস বিকৃত করে রাম আর বামদের এই আন্দোলনের স্বীকৃতি দিচ্ছে!
মহান একুশের চেতনায় স্বাধীনতা আন্দোলনের উন্মেষ ঘটে। ১৯৭১ সালে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম নেতৃত্বাধীন তমুদ্দন মজলিশের মাধ্যমে। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহও মহান ভাষা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ডাকসুর সাবেক জিএস অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ভাষা আন্দোলেনর অন্যতম পুরোধা।
নুরুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, ফেব্রুয়ারি আসলেই বাংলা ভাষার মর্যাদা সম্পর্কে অনেক কথায় বলা হয়। কিন্তু ভাষার উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা লাভ করলেও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে এখনও বাংলা ভাষার প্রচলন করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতিতে ক্রমেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তা রীতিমত ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যা আমাদের ভাষা, সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতিহীন।