বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানী সুপার মার্কেটে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সম্পদের যে বিরাট ক্ষতি হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীগণ দারুণ অর্থনৈতিক সংকটে পরবে। এ বিরাট ক্ষতি সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও স্বল্প সময়ের মধ্যে পূনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শনকালে সাধারণ মানুষসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে একান্তে কথা বলেন। তিনি এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে আন্তরিকভাবে মর্মামত হন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে তিনি তাদের এই বিপদে মনোবল না হারিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর ভরসা রেখে ও ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন। সেইসাথে জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাসম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিন দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সালাম, আশরাফুল আলম ইমন, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তোফাজ্জ্বল হোসাইন হেলালী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আল কোরআনের সুরা হজ্বের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গণমানুষের সকল সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় নাগরিকরা রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত থাকলে মানুষের যা প্রয়োজন তা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় ইনসাফপূর্ণ সমাধান করা হতো। কিন্তু দেশের চলমান নেতিবাচক রাজনীতি, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতালিপ্সা ও দুর্নীতির কারণেই আমরা সে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। মানুষের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেশে অগ্নিদুর্ঘটনার প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অগ্নিনির্বাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় ও প্রয়োজনীয় গণসচেতনার অভাবে অতি তুচ্ছ ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তিনি নগরীতে প্রতিনিয়ত এ ধরনের রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও পুনরাবৃত্তি রোধে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।