একটি সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অপরিহার্য। উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যকারিতায় নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ পুরণ সুশাসনের জন্য অত্যাবশ্যক।
সামাজিক অপরাধ ও তার প্রতিকারঃ
আমরা মনেকরি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, নারীনির্যাতন, চোরাচালান মাদক ব্যবসাসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে শুধুমাত্র কঠোর আইন প্রয়োগই যথেষ্ঠ নয়। এর পাশাপাশি সামাজিক মূল্যবোধ শক্তিশালী হওয়া আবশ্যক। বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাস নির্ভর পেশীবহুল রাজনীতি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ফলে জনগণ গণতন্ত্রের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অপরাধীদের ক্ষমা করে দেওয়ার ফলে অপরাধীদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীর উপর সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরাই বেশী অগ্রগামী। রাজনৈতিক প্রভাবের দরুন এরা শাস্তির আওতামুক্ত থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিতে এই সন্ত্রাসীদের ব্যবহার ও চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজদের প্রশ্রয়দানের ফলে সমাজ থেকে অপরাধ দূর করা দূরহ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এর ফলে রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিরা আগ্রহ হারাচ্ছে এবং জাতি সময়োপযোগী নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের বিদ্যমান সামাজিক প্রভাব যুব সমাজকে সন্ত্রাস-প্রবণ করে তুলছে। এমতাবস্থায় সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি বন্ধ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যদিও সন্ত্রাস রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে তথাপি সাধারণ জনগণ এই ধরনের রাজনীতি চর্চার বিরোধী। জনগণের এই মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেম ও জনকল্যাণমুখি রাজনীতি জনপ্রিয় করা সম্ভব। এর জন্য ব্যাপক ভিত্তিতে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া জরুরী। এর পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার স¯প্রসারণ ও সন্ত্রাস বিরোধী প্রচারণা আবশ্যক। বৈধ গণতান্ত্রিক দলের উপর রাজনৈতিকভাবে আরোপিত সরকার কর্তৃক জুলুম নির্যাতন চরমপন্থাকে উৎসাহিত করছে। তাই জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধে গণতান্ত্রিক ধারায় স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক দল গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা করার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ থাকা জরুরী। তাছাড়া ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা জরুরী। রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বিচারব্যবস্থায় সুশাসণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বিচার কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করা ঠিক নয়। বিচার ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। এর জন্য সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। দলীয় বিবেচনায় বিচারক নিয়োগ দেওয়া বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সুশাসণ প্রতিষ্ঠায় বিচারব্যবস্থা স্বাধীন হওয়া আবশ্যক। সমাজে নরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় সামাজিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। নারীর পতিতাবৃত্তি গ্রহণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পতিতাবৃত্তি নারী পাচারের প্রধান কারণ। তাই নারী পাচার রোধে পতিতাবৃত্তি বন্ধ হওয়া জরুরী। নিঃসন্দেহে এটি নারীর প্রতি চরম অবমাননা এবং সামাজিক ভাঙ্গনের অন্যতম কারণ। তাই পতিতাবৃত্তি প্রতিরোধে নৈতিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, নারীর কর্মসংস্থনের ব্যবস্থা ও সামাজিক পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করা জরুরী। জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির পথে অন্যতম প্রধান বাধা দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দুর্নীতিবাজরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্নীতি প্রতিরোধ দুরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই দুর্নীতিবাজদের রাজনৈতিক প্রশ্রয়দান বন্ধ ও দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। মাদক যুব সমাজের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি যুবসমাজের স্বক্ষমতাকে কমিয়ে দিচ্ছে এবং পরিবারে ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ফলে পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে এবং সমাজে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মাদকের অবাধ প্রবাহ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। মাদকাসক্তি দূর করণে কঠোর ও সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।
নারীর অধিকারঃ
আমরা মনেকরি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে নারী ও পুরুষের সমান ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা আবশ্যক। সমাজের এই অর্ধাংশকে পশ্চাতে রেখে একটি সমৃদ্ধ সমাজ গঠন সম্ভব নয়। মানুষ হিসেবে উভয়ই নিজ নিজ অবস্থানে পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সমাজ গঠনে তার অবদান, দায়িত্ববোধ, সততা, ন্যয়পরায়ণতা, উন্নত নৈতিক ও মানবিক চরিত্র তাকে অপরোপারের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করে। তাই উভয়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থাই নারী বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার। পারিবারিক পরিমন্ডলে তারা যেমন অবহেলিত তেমনি সামাজিকভাবেও অধিকার বঞ্চিত। পরিবারে তাদের মতামতকে বিবেচনা করা হয় না। মনে করা হয় নারীরা সুপরামর্শ দিতে অক্ষম। অপরপক্ষে তাদের মৌলিক পয়োজন পুরণেও গৃহকর্তা সচেষ্ট থাকেন না। ফলে তারা অনেক সময় মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হন। তাছাড়া অনেক পরিবারে নারী শিক্ষার ব্যপারে রয়েছে প্রবল অনীহা। বরং তারা এটিকে অবাঞ্ছিত বাড়াবাড়ি বলে মনে করে থাকে। ছেলের শিক্ষার ব্যপারে তারা যতটা পেরেশান মেয়ের শিক্ষার ব্যপারে তাদের ততটাই অণিহা। তাছাড়া অনেক পরিবারে মেয়েদেরকে সামাজিকীকরণে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়না। এমতাবস্থায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় জোরালো ও কার্যকর ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবী। নারীর ব্যাপারে সমাজের এই বদ্ধমূল ধারনা দুরীকরণে একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এজন্য নারী-পুরুষ বৈষম্য দুরীকরণে নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নারীর যথাযথ সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সকলপ্রকার সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিশ্চিত করা জরুরি। একটি আদর্শ পরিবার গঠনে নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক পরিমন্ডলে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশে নারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই উক্ত ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করা আবশ্যক। সম্পত্তিতে নারীর মালিকানা ও পর্নাঙ্গ কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সামাজিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারী যেন তার প্রাপ্য যথার্থ রূপে বুঝে পায় তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। নারীনির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ ও যৌতুক প্রতিরোধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক।
শিশু-কিশোর কল্যাণঃ
আজকের শিশু আগামী দিনের দেশ গঠনের কারিগর। তাই শিশুর শারিরীক ও মানসিক সুসমাঞ্জস্যপুর্ণ বিকাশ একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের অন্যতম প্রধান শর্ত। এক্ষেত্রে লিঙ্গীয় বৈষম্য কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রতিটি শিশুকে শিক্ষার আওতাধীনে আনা অপরিহার্য। দেশ থেকে শিশুশ্রম উচ্ছেদ করে সকল শিশুর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ও সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করা জরুরী। শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন ও বৈষম্য দুর করা আবশ্যক।
প্রতিবন্ধীর কল্যাণঃ
সমাজে প্রতিবন্ধীদের প্রাপ্ত মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিত করা পয়োজন। তাছাড়া তাদেরকে উপযুক্ত সুযোগ ও শিক্ষা দিলে প্রগতিশীলতাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। তাদের সামাজিকীকরণ সহজতর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।
দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থানঃ
দারিদ্র একটি সমাজের সবচেয়ে বড় অভিশাপ যেটি সমাজের সকল উন্নয়ন সুচককে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান সকল কিছুর মান দারিদ্র বৃদ্ধির সাথে সাথে কমে যায়। তাই সমৃদ্ধ দেশ গঠনে দারিদ্র প্রধানতম বাধা। তই এই দারিদ্র বিমোচনে খুব কৌশলী, সময়োপযোগী ও কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে কৃষিকার্যে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। কৃষকদের মাঝে উন্নত কৃষি উপকরণ বিতরণ, সেচ ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পর্যাপ্ত আর্থিক সহয়োগিতাদান আবশ্যক। উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে স্বনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষে উন্নত বীজ সরবরাহ জরুরী।
শিল্পায়ন ছাড়া অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনায়ন সম্ভব নয়। তাই শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্্র ও বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান আবশ্যক। দেশীয় পণ্যের বাজার তৈরিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তাছাড়া নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সর্বাত্তক সহযোগিতা দান জরুরী। তাছাড়া কর্মক্ষম জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রবাসে বাংলাদেশী শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
শ্রমিকের অধিকারঃ
অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ শ্রমিক শিল্পোৎপাদনে বেশি ভূমিকা রাখে। একজন শ্রমিক যেন তার যথার্থ মজুরী যথা সময়ে বুঝে পায় তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন মজুরী এমন হওয়া উচিৎ যার দ্বারা সে তার পরিবারকে সাথে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলতে পারে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও সন্তানদের শিক্ষার সুবন্দোবস্ত হয়। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। উপযুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা ও কর্মঘন্টা স্বাভাবিক সীমার মধ্যে রাখা অপরিহার্য।
সংখ্যালঘুদের অধিকারঃ
বাংলাদেশ বিভিন্ন ছোট-বড় জনগোষ্ঠীর আবাস। বিভিন্ন শ্রেনী- হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান কিংবা ছোট-বড় উপজাতি সকলেই এ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সমান ভূমিকা রেখেছে। তাই আমরা মনেকরি এ দেশে বসবাসরত সকল মানুষের জন্য সমান ও অভিন্ন সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরী। জাতিভেদ কিংবা বর্ণভেদ কোন অর্থেই গ্রহণ যোগ্য নয়।
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃ
আমরা মনে করি মানুষের সকল প্রকার চিন্তা ও কর্মধারার প্রকাশই হচ্ছে সংস্কৃতি। শিল্প ও সাহিত্যই কেবলমাত্র সংস্কৃতির অন্তর্ভূক্ত উপাদান নয়, মানুষের মুল্যবোধ, বিশ্বাস ও তার জীবনধারাও সংস্কৃতির অঙ্গ। প্রত্যক সংস্কৃতি একটি নির্দিষ্ট জাতিসত্তাকে ধারণ করে এবং কতগুলো অপরিবর্তনীয় মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রত্যেক জাতি সংস্কৃতির মাধ্যমেই পৃথিবীতে তার অস্তি-ত্বকে সুচিহ্নিত করে। বাংলাদেশ এ ঐতিহাসিক বিবর্তনের ধারাবাহিকতাই একটি স্বতন্ত্র ও তাৎপর্যমন্ডিত সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। বহু সংস্কৃতির সংস্পর্সে এসে শুভ ও কল্যাণকে গ্রহণ করে সে যেমন নিজে সমৃদ্ধ হয়েছে তেমনি সমৃদ্ধ করেছে অপরাপর সংস্কৃতিকে। এখানে অঞ্চলভেদে সংস্কৃতির মধ্যে যে ভিণœতা তা এর মৌলিকত্বকে অক্ষুন্ন রেখেই সৃষ্টি হয়েছে এবং এ ভিন্নতা আমাদের সংস্কৃতিকে পূর্ণতা দান করেছে। সংস্কৃতির মৌলিকত্বের উপর আঘাত হানে এমন সকল প্রকার কর্মকান্ড অপসংস্কৃতি। আর এ অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক উপাদান সংরক্ষণ ও বিকাশে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।