স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বাংলাদেশ আলোর পথ পায়নি। অন্ধকার জগত থেকে বাংলাদেশকে বের করে আলোর জগতে নিতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা এদেশের ছাত্র-জনতা ৫৩ বছর পরে উপলব্ধি করতে পেরে জুলাই-আগস্টে উই ওয়ান্ট জাস্টিস প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে। এই ন্যায় বিচার মানুষের তৈরি আইনে কখনো হয়নি, হবেও না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে কেবলই ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মন্তব্য করে উপস্থিত সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, একজন বিবেকবান আইনজীবী কি বলতে পারবেন মানুষের তৈরি আইনে ন্যায় বিচার হয় বা হয়েছে?- যদি ন্যায় বিচার হতো তাহলে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ভারতের পরামর্শে শেখ হাসিনার সাজানো মামলায় সকলেই মুক্তি পেতো। কেন সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষ্য দিতে দেওয়া হয়নি?- কেন আদালত থেকে সাক্ষীতে গুম করে নিয়ে যেতে হলো?- এর কারণ ন্যায় বিচার ছিল না। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রীম কোর্ট শাখার উদ্যোগে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ভবনে শামছুল হক চৌধুরী হল রুমে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসুদ বলেন, শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজানো মামলায় জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। আজ শেখ হাসিনা নিজেই গণহত্যা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রকৃত আসামী। জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতাকর্মীও মানবতাবিরোধী অপরাধ কোন কালেই করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নিজেদেরকে কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল দাবি করে সেই আওয়ামী লীগের হাতে কেন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিরাপদ ছিল না। কারণ তারা ভারতের তাঁবেদারির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল। জামায়াতে ইসলামী কারো তাঁবেদারির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ছিল না বলেই জামায়াতে ইসলামীকে তারা স্বাধীনতা বিরোধী বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী নয়, জামায়াতে ইসলামী মর্যাদাশীল স্বাধীনতার পক্ষে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারত যদি বিশ্বাস করতো, তাহলে তারা আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত আনতো না।
বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সুপ্রীম কোর্ট শাখার সভাপতি এডভোকেট গিয়াসউদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী এডভোকেট আবদুল বাতেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ মশিউল আলম, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মো. ইউসুফ আলী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মোঃ সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির ট্রেজারার ও সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট এ কে এম রেজাউল করিম খন্দকার, এডভোকেট জালাল উদ্দিন ভুঁইয়া, এডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুইয়া প্রমুখ।