বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ শুক্রবার ৩ জুন ২০২২ রাজধানী ঢাকার মৌচাক এলাকায় মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণের মাঝে গণসংযোগ ও সহযোগী ফরম, লিফলেট, বই বিতরণ করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আবদুস সাত্তার সুমন, রমনা থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আবু মুসা, এড. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, আহাম্মদ আলী সরকার, আলাউদ্দিন সরকার, যুবনেতা নুরে আলম, আরিফ হোসেন, আনিসুর রহমানসহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ। পরবর্তীতে পাশ^বর্তী একটি মিলনায়তনে রমনা থানার কাকরাইল সাংগঠনিক ওয়ার্ড আয়োজিত মাসব্যাপী বই পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সমাজ সংস্কৃতি ও সুন্দর জীবন পরিচালনা করতে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুসরণের বিকল্প কিছু নেই। নামাজ পড়া রোজা রাখা যেমন আল্লাহর নির্দেশ, তেমনি অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সামাজিক থেকে শুরু করে ব্যক্তির পারিবারিক সকল ক্ষেত্রে সেই আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসেবে মেনে নেয়া হচ্ছে ঈমানের পূর্ণতা। সেই সত্য আহ্বান মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ হতে সাধারণ মানুষের মাঝে গণসংযোগ সপ্তাহ পালন করছি। আপনাদের সবার কাছে আমাদের দাওয়াত হল, মহান আল্লাহর বিধান সকল স্থানে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) যে সুন্দর সমাজ রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন, জামায়াত বাংলাদেশে সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখে। সে লক্ষ্যে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সংঘবদ্ধভাবে এই জমিনে দ্বীন ইসলাম বিজয়ের জন্য সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত ভাবে আমরা করে যাচ্ছি। রাসূল (সা) একদল যোগ্য লোক তৈরী করে সোনার মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আমরাও একইভাবে সেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাসূল (সা) এর আদর্শের আলোকে সোনার মানুষ তৈরি করতে চাই। যাদের দ্বারা দেশ ও জাতি সত্যিকার অর্থে কল্যাণ লাভ করবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে এদেশের জনগণের পাশে থেকে মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ মহান আল্লাহ্ নির্দেশিত কাজ যা মহান আল্লাহ্ প্রেরিত সকল নবী রাসূলগণ করে গেছেন। আমাদের প্রিয় নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তী জীবনের সবটুকু সময়ই আল্লাহর দেয়া বিধান ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার ও প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্যে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বলেন, আমরা সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণ চাই। মজলুম মানবতার পাশে দাঁড়নোই আমাদের কাজ, যা নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা) করেছিলেন। আমরা যে জাতিকে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে পারী তা বিগত সময়ে আমাদের দুই মন্ত্রী দেখিয়েছেন, এটি মূলত ইসলামেরই সৌন্দর্য। ইসলামের মৌলিক রূপই কেবল তারা উপস্থান করে ছিলেন। আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা এই দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলার ক্ষেত্রে আপনারা আরো সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। সারাদেশে সংগঠনের নামে লাখ লাখ মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানির বিষয়টিও বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি। একই সাথে মানুষের মাঝে কুরআনের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও আমরা আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যোগ্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরির কাজ আমরা করে যাচ্ছি। আল্লাহর দ্বীন এই জমিনে বিজয়ী হলে দেশের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।