সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে জামায়াত এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতিসন্তান মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড সহ পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্পটে অসচ্ছল ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে কুরবানীর গোস্ত বিতরণ করেছেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোহরুল ইসলাম সহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কুরবানীর গোস্ত বিতরণকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ) তার জীবনে অনেকগুলো কঠিন পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছিলেন এবং সে সকল পরীক্ষায় তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআনে তা বর্ণনা করা হয়েছে। ফলে তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্যেই আল্লাহ তা’য়ালা মুসলিম মিল্লাতের উপর কিয়ামত পর্যন্ত কুরবানীকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। হযরত ইব্রাহীম (আ) কে শুধু জাতির পিতাই করা হয়নি বরং মানব সভ্যতার আদর্শ ও অনুকরণীয় নেতৃত্ব হিসেবে আমাদের সামনে রাখা হয়েছে। একজন মুমিন হিসেবে আমাদেরকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সর্বাবস্থায় প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই ঈদুল আজহা’র প্রকৃত শিক্ষা।
তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা কুরবানী করেছি। কুরবানীর গোস্ত বা রক্ত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং মানুষের তাকওয়া, পরহেযগারীই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে। সুতরাং হৃদয়ে আল্লাহর ভয় লালন করে আমাদেরকে তাকওয়া সম্পন্ন ও নিষ্ঠাবান মুসলিম হতে হবে। জীবনের সকল স্তরে অর্থাৎ পারিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আদর্শে উজ্জীবিত ও ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসী এবার এমন একটি সময়ে ঈদুল আযহা পালন করছে যখন আওয়ামী অপশাসনের যাঁতাকলে জনগণ তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। চাল, ডাল, গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির ফলে জনগণ আজ দিশেহারা। সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের এই ক্রান্তিকালে গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার জায়গা থেকে যেকোন বিপদ-আপদ ও উৎসবে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে এদেশের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ন্যায়-ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর এই গণমুখী প্রয়াস অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।