বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহ্বানে দেশব্যাপী পূর্ব ঘোষিত ৫ ও ৬ নভেম্বর, রোববার ও সোমবার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, নৌ-পথ ও রেলপথ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে বিক্ষোভ মিছিল, পিকেটিং, সমাবেশ করেছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এসময়ে পুরো রাজধানী জুড়ে যান চলাচল ছিল সীমিত। আইন শৃংখলা বাহিনী ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের পথে হুমকির মধ্যেও গাড়ি ঘোড়া না বের করে এবং দোকানপাট না খুলে ঢাকা সিটি দক্ষিণের অধিবাসীগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে জামায়াতের অবরোধ পালন করেছে। এর মধ্যদিয়ে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থার মনোভাব আরও স্পষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ডাকা এই অবরোধ সফল করায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অবরোধের কারণে রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। অবরোধে রিকশার আধিক্য ছিল রাস্তাজুড়ে। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, অবরোধের কারণে গত দুই দিনে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি এবং রাজধানী ঢাকাতেও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন প্রবেশ করেনি। অবরোধের কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হননি। এই কারণেই জনগণের অবরোধ সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন, হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মোকাবেলায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে এসেছে। তারা সর্বাত্মকভাবে অবরোধ পালন করে জানিয়ে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন করছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমাদের আন্দোলন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাকর্মী ও আলেম ওলামার মুক্তির জন্য। আমরা আন্দোলন করছি দেশের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করে দেশের মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার জন্য। আমাদের আন্দোলন এদেশের মানুষের মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। এই অবৈধ সরকার জনগণকে বঞ্চিত করে ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু আজ জনগণ ঐক্যবদ্ধ, বিরোধী দল গুলো ঐক্যবদ্ধ। এদেশের মানুষ আগামীতে আর এই স্বৈরাচার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।