বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, একটি সুখি সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে দুর্বার গতিতে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক জনশক্তিকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম রক্ষায় শাহাদাতের তামান্না নিয়ে ময়দানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গায় সফলতা অর্জন করতে চাই। এই সফলতার জন্য, ইকামাতে দ্বীনের জন্য নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে আমাদের সর্বোচ্চ সময়, শ্রম ও শক্তি বিনিয়োগ করতে হবে।
তিনি রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কোতোয়ালি থানার ষান্মাসিক সদস্য সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কোতোয়ালি থানা আমীর মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আহসান উল্লাহ, কোতোয়ালি থানা সেক্রেটারি রিয়াদ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আওয়ামী সরকারের অব্যাহত ব্যর্থতাকে ঘৃণা জানিয়ে বাংলাদেশের সচেতন জনগণ মানুষ আজ জেগে উঠেছে। আজ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, অর্থ লুটপাট, ব্যাংক ধ্বংস করা এবং দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় জনগণ আর এই অবৈধ আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। বাংলাদেশ আজ কঠিন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। একদিকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিরোধী দল-মতের উপরে সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার-হুলিয়া, মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন পীড়নের মধ্য দিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর। সেজন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদের সব রকমের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আজকে জামায়াতে ইসলামীর উপরে অব্যাহতভাবে নির্যাতন, মামলা-হামলা করা হচ্ছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহঃ সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, মহানগরী উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা-কর্মীকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ বিশ্বাস করে ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়া বর্তমান সরকার খুব দ্রুতই বিদায় নিবে এবং দেশে জনগণের সমর্থিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প কিছু নেই। এমতাবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ও জণগণকে নিজের ভোট নিজে প্রদানের সুযোগ দিতে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার বা নিরপেক্ষ একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের সকল ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছে। জামায়াত এদেশের প্রকৃত উন্নয়ন অগ্রগতিতে সবসময়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। দেশে ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার কথা কেবল জামায়াতে ইসলামী বলে আসছে। এছাড়াও সমাজের নানা অসঙ্গতি দূরীকরণের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জামায়াত করে যাচ্ছে। জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে জামায়াত এদেশে একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে।