বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে সদ্য বিদায়ী ইসলামী ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের নিয়ে শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা সফরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল। মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও মতিঝিল জোনের সহকারী পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হক। থানা সেক্রেটারী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এর ব্যবস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এটিএম সিরাজুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা সগীর বিন সাঈদ, মতিঝিল দক্ষিণ থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইমাম হোসেন, আব্দুল আউয়াল, ওসমান গনী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রাসূল (সা) কে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে মিশন নিয়ে পাঠানো হয়েছে তা হচ্ছে সমাজে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত জীবন বিধানের উপরে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য প্রয়োজন ইসলামের সুমহান আদর্শে উজ্জীবীত একদল যোগ্য নেতা-কর্মীর। একটি শক্তিশালী সংগঠনের জন্য যেমন কর্মী বাহিনী প্রয়োজন তেমনিভাবে গণমুখী নেতৃত্বও প্রয়োজন। নেতৃত্বকে হতে হবে ধৈর্য্যশীল, সাহসী, সততার দিক থেকে নৈতিকতা সম্পন্ন জনদরদী মানুষ। একেকটি এলাকায় যখন সৎ নেতৃত্ব দানকারী ও যোগ্যতা সম্পন্ন জনবল তৈরি হবে তখন ঐ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। নেতৃত্বের এই ঘাটতি পুরনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর নির্দেশিত ৪টি দফার আলোকে রাসুল (সা) সমাজ পরিবর্তনের জন্য প্রচেস্টা চালিয়েছিলেন। ১ম হচ্ছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলের উপর ওহীর মাধ্যমে যা এসেছে তা অপরের কাছে পৌঁছে দেয়া। ২য় হচ্ছে, মানুষকে পরিশুদ্ধ বা সংশোধন করা। ৩য় হচ্ছে, কুরআনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। ৪র্থ হচ্ছে, হিকমা বা কৌশল শিক্ষা। এই চারটি মৌলিক গুনাবলীর মাধ্যমে ব্যক্তিকে গড়ে তুলে তিনি পৃথিবীর বুকে একটি সোনালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই আদর্শকে সামনে রেখে কাজ করছে। যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে, দায়িত্ববোধ থাকবে, অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রবনতা থাকবে অর্থাৎ যেখানে মানবিকতা বিকশিত হবে। দুনিয়া ও পরকালের জন্য উপযুক্ত করে ব্যক্তিকে গড়ে তোলার মধ্যমে যে সমাজ পরিচালনা হবে সেই সমাজ হবে সুখী ও সমৃদ্ধশালী। তারা পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে বিশ্বের মানবতার জন্য কাজ করবে।
পরিশেষে শিক্ষা সফরে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের এবং ছাত্রশিবির থেকে সদ্য আগত ভাইদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।