করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরণে ‘স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য ও মানব সেবা শীর্ষক ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন,করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি সাহায্য চাইতে হবে। ইবাদত বন্দেগীর সাথে সাথে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক উপকরণ হিসেবে প্রত্যেক পরিবারে অবশ্যই থার্মোমিটার ও পাল্স অক্সিমিটার ঘরে রাখুন, তাহলে সহজেই বুঝা যাবে শরীরের অক্সিজেন মাত্রা কত। এই করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে নানাবিধ সেবা ও সামগ্রী নিয়ে দেশের মানুষের মাঝে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জীবন মরণ, অর্থ সম্পদ সবকিছুই ঐ মহান আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ। সুতরাং সকলে চলমান সংকটকালীন সময়ে মানুষের কল্যাণে তা ব্যয় করুন। অবশ্যই মহান আল্লাহ আপনার দানে বরকত দান করবেন। মানুষের জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত নিয়ে সামর্থবান সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সচেতনতা, স্বাস্থ্য ও মানব সেবা শীর্ষক এক অনলাইন সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এসময় অনলাইন মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে এড. ডঃ হেলাল উদ্দিন, মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান প্রমূখ সহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন থানার আমীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, করোনা সংক্রমণের প্রধান তিনটি স্পট নাক মুখ চোখ অবশ্যই সুরক্ষিত রাখুন, প্রয়োজনে ডাবল মাক্স ব্যবহার করুন। সেই সাথে নিজ পরিবার, সমাজ, দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হোন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রত্যেকটা জিনিস আমানত হিসেবে দিয়েছেন। সেই আমানতের খেয়ানত যেন না হয়ে যায়। অবশ্যই নিজেকে ঘরে ও বাহিরে সবখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। প্রয়োজনে বাহিরের জন্য পৃথক পোশাক, জুতা ব্যবহারের চেষ্টা করুন। ঘরে এসে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী গোসল সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে পরিবারের সাথে অবস্থান করুন। করোনার টিকা প্রত্যেকে গ্রহণ করুন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, করোনা ভাইরাস গোটা দুনিয়ার মানুষকে চোখে হাত দিয়ে একটা ম্যাসেজ দিয়ে দিচ্ছে তা হল, সবকিছুর উপরে একমাত্র ক্ষমতাশীল মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনি সকল কিছুর উপরে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা রাখেন। মানুষের জীবন রাষ্ট্র সবকিছু কিভাবে পরিচালিত হবে তা মহান আল্লাহ নাযিল করেছেন। করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে আমরা কিছুটা ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় এথেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলার দিকে আমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মানবিক সেবা নিয়ে আমরা মানুষের পাশে থাকার প্রচেষ্টা অবহ্যত রেখেছি। ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লাশবাহী গাড়ী ও ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহ এই করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নানাবিধ সেবা উপকরণ নিয়ে মানুষের পাশে আছি। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে আমরা সকল প্রচেষ্ঠা অব্যহত রেখেছি। আমরা এই কঠিন সময়েও মানুষের পাশে থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আর্থিক সহযোগিতা, চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান সহ তাদের কষ্ট লাঘবে কাজ করে যাচ্ছি। যারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাদের পাশে আমাদের ভাইয়েরা আন্তরিকতার সাথে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি করোনাকালীন এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমাজের বিত্তবান সকলকে এগিয়ে আসার উদ্বাত্ত্ব আহবান জানান।