বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি উত্তরণ করতে হবে। করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় আল্লাহর সাহায্য কামনায় বেশি বেশি দোয়া ইবাদত করতে হবে। মনে রাখতে হবে করোনা একটা ভাইরাস যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে ইতিহাসে বিভিন্ন সময় মহামারী এবং বিপর্যয় এসেছে। এটা দুনিয়াবাসীর জন্য গজব আর ঈমানদারদের জন্য পরীক্ষা। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী জলে ও স্থলে মানুষের উপর যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তা তাদের নিজেদেরই হাতের কামাই। মানুষ আজ সত্য সুন্দরের পথ ছেড়ে দিয়ে বিপথগামী হয়েছে। এমতাবস্থায় যারা প্রকৃত ঈমানদার তার জন্য পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে এই করোনা ভাইরাস নামক মহামারী মোকাবেলা করতে হবে। বেশি বেশি আল্লাহর নিকট সাহয্য ও ক্ষমা চাইতে হবে।
আজ রাজধানী ঢাকার একটি মিলনায়তনে জুম্মার নামাজ শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে আল্লাহর সাহায্য কামনায় “দোয়া অনুষ্ঠানে” সভাপতির বক্তব্যে জননেতা জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় দোয়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও বিভিন্ন থানার আমীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মানুষ কত অসহায়, যারা সামরিক অস্ত্র বা পারমানবিক অস্ত্র আবিষ্কার করে। সামান্য করোনার কাছে এসব মানুষ আজ অসহায় ও ব্যর্থ। এই পরিস্থিতি উত্তরণে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার আল্লাহর সাহায্য। ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর নির্দেশনার যথাযথ অনুস্মরণ করা উচিৎ। করোনার উৎপত্তির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। এর বিস্তৃতি রোধে সচেতনতা, সতর্কতা ও পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয়। অতীতে খেয়ালী ভূমিকা ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশ ও জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এমতাবস্থায় জনগণকে সজাগ ও সচেতন হবার পাশাপাশি রাষ্ট্রের ব্যাপক পূর্ব প্রস্তুতি দরকার। ইসলাম তথা আল্লাহর মনোনীত বিধান বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে। বিশ্বব্যাপী মানবীয় বিপর্যয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে, মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য দ্বীনি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। এখান হতে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মহান আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করতে সক্ষম। আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা দিয়ে জনপদ উল্টে দিতে পারেন যদিও সেখানে ধর্মপ্রাণ বুজুর্গও বিদ্যমান থাকেন তবুও। আল্লাহর কুন ফাইয়া কুন বললেই সব হয়ে যায়। সুতরাং অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহর দিকেই ফিরে আসতে হবে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, করোনা ভাইরাস ঐশিক মাহামারি হিসেবে আমাদের মাঝে দৃশ্যমান। যা একান্তই আমাদের বাড়াবাড়ির ফসল। আল্লাহর সৈন্যবাহিনী রূপে হয়তো এই করোনা ভাইরাস এসেছে। আমাদের দায়িত্বের অবহেলার কারণে আল্লাহ নিজেই তা সংঘটিত করছেন। এমতাবস্থায় অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। মু’মিনদের যেকোন বিপদ মুসিবতে উদ্বিগ্ন না হওয়া বাধ্যতামূলক। এটা ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক। “হাসবুনাল্লাহ ওয়া নিমাল ওয়াকিল, নিমাল মাওলা ওয়া নিমান নাসির” কুরআনের বাণী এ বাক্যটি ‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম সাহায্যকারী, কার্যসম্পাদনকারী।’ (সূরা আল ইমরানঃ ১৩৭) সবাই এই দোয়া পড়তে থাকবেন সব সময়, ইনশাআল্লাহ!! আল্লাহর সাহায্য খুব নিকটবর্তী।
এসময় আল্লাহর কাছে করোনার প্রতিষেধক চেয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জননেতা জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল।