বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ কালে বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্তমান সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকায় তা মহামারী আকার ধারন করেছে। এখনই সরকার, সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা অতীব জরুরি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত সহ বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।
দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শুক্রবার রাজধানী ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, ডেমরা, মালিবাগ, রমনা, খিলগাঁও এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনা মূলক এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির সহ জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কিত আতঙ্ক ঝেড়ে ফেলে এ রোগ প্রতিরোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতায় পারে এরোগ প্রতিরোধ করতে। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার ও নিজেদের ঘরবাড়ি মশামুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা। ফলে সকল অবস্থায় আমাদের বাড়িঘর, উঠোন, বাড়ির ছাদ ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণসমুহ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। বেশী পরিমানে তরল খাবার, ডাবের পানি ও ফলের রস খেতে হবে। জ্বরের মাত্রা বেশি ও অবস্থা খারাপ মনে হলে রোগীকে বাসায় না রেখে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।মনে রাখতে হবে শুধু ডেঙ্গুই নয়, যেকোনো রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি সেই রোগ প্রতিরোধ করা বেশী জরুরি। ফলে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠন সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বর্তমানে সারাদেশে বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ডেঙ্গু জনমনে বেশ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ রোগ ও তার প্রতিকার এবং চিকিৎসা সম্পর্কে প্রকৃত ধারণার অভাবই এই আতঙ্কের মূল কারণ। তাই এ রোগ সম্পর্কে সুষ্ঠুভাবে অবহিত হয়ে এ জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য জনমনে সতর্কতা সৃষ্টি করা দরকার সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ভাবে সারাদেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।