পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী (আমিন বাজার) পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের মৎস্য ভবন অংশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।


প্রধান অতিথি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন , হাজার হাজার লোক সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার পরও যদি সরকারের কানে না যায়। সরকার যদি জনগণের চোখের ভাষা, মুখের ভাষা না বুঝে। তবে সরকার যেই ভাষা বুঝতে চায় জনগণের দাবি আদায়ে সেই ভাষায় দাবি আদায় করা হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার যদি সড়ক ব্লককেড চায়, সরকার যদি রাজপথ উত্তাল দেখতে চায় তবে জামায়াতে ইসলামী ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও সেই কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।


কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে মাওলানা এটিএম মা’ছুম, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মাওলানা আব্দুল হালিম। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. শামছুর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দসহ বিভিন্ন সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এবং মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।


সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন , ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও বিচারের মুখোমুখি করা’ গণমানুষের দাবি। সরকার যদি গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একদিনে করতে চায় তাহলে বুঝতে হবে সরকার একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকার গড়িমসি করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করতে জনগণ বাধ্য হতে পারে। তাই সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি আহ্বান জানান।