বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এতো বাঁধা বিপত্তির পরেও জামায়াতে ইসলামী গতকাল এক ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করেছে। আমরা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করছি। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আর কালবিলম্ব করবেন না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিন, দেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ তৈরি করুন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা রক্ত দেব, জীবন দেব তবুও এদেশকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দিবো না। তিনি বিএনপি’র মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলারও নিন্দা জানান।
তিনি আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকালে রাজধানীর সবুজবাগে হরতালের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশে একথা বলেন। রাজধানীর বাসাবো সংলগ্ন বিশ্বরোডে হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ, পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আবু নাবিল, মতিউর রহমান, আবু মাহি, এডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, আবু আব্দুল্লাহ, মোঃ ইসহাক, রওশন জামান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, দীর্ঘ পনের বছরে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের জনগণ এক দুর্যোগপূর্ণ ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে একটি ঝুঁকিপুর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আওয়ামী সরকার আপরাধ করতে করতে আজ এমন অবস্থায় পৌছে গেছে যে, এখন নিজেরা বাঁচার জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই রাতের সরকার মুক্তিকামী জনগণের উপর আর কোনো ষড়যন্ত্র করতে চাইলে তা রাজপথেই তা প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ। যারা মনে করেন পুলিশ দিয়ে, পেটুয়া বাহিনী দিয়ে গুলি করে আমাদেরকে দমন করবেন তাদেরকে বলতে চাই, আপনাদের গুলি বুকে ধারণ করেই এদেশের মানুষকে আমরা মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঢাকাবাসী সহ সারা বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসে ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
*শ্যামপুর থানা*
সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে রাজধানীর জুরাইন রেলগেটে মিছিল ও পিকেটিং করে শ্যামপুর থানা। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, কবির হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আসাদুল্লাহ গালিব, কামরুল আহসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
*খিলগাঁও থানা*
খিলগাঁও থানায় সকালে হরতালের সমর্থনে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিশে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল আমিন, আব্দুর রহমান সাজু, আসিফ আদনান, মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মাওলানা আবু মুয়াজ, সাজেদুর রহমান শিবলী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট এসএম খোকন, খোরশেদ আলম মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
*ডেমরা থানা*
আজকের সকাল সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে ডেমরা উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল এবং হরতাল পিকেটিং সম্পন্ন করে। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। এসময় অরোও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ আলী, মির্জা হেলাল, জামায়াত নেতা মোজাফফর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জি তমিজ উদ্দিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
*যাত্রবাড়ি থানা*
হরতালের সমর্থনে যাত্রবাড়ি থানার উদ্যোগে মিছিল-পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে মিছিল-সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাদেক বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।