আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর পান্থপথ থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাওলানা আবু সাদিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, কামরুল আহসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সেক্রেটারি জাফর সাদিক, ঢাকা কলেজ সেক্রেটারি মুসআব আব্দুল্লাহ সহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমীর-সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসে এদেশের জনগণের সকল অধিকারকে হরণ করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীর নয়, এটা গোটা বাংলাদেশের জনগণের দাবি। আর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। দেশের জনগণ পরিবর্তন চাই, এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের হাত থেকে মুক্তি চাই। তাই সরকারকে বলতে চাই, জনগণের সকল ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিন। বিদেশে ধর্ণা দিয়ে এবার আর লাভ হবে না। ভোট ডাকাতি করে বাংলাদেশের জনগণের সাথে এবার প্রতারণা করা যাবে না। তাই বিদেশিদের কাছে ধর্না নয়, কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন অন্যথায় জনগণই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আপনার পতন নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আইন আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনীতিবিদদের সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করতে চাই। এজন্য হঠাৎ করেই বিরোধী নেতৃবৃন্দের সকল মামলায় সুপারসনিক গতি দেখা যাচ্ছে। কোর্টে আইনজীবীদেরকে জেরা করার সময় দেওয়া হচ্ছে না। কোনো কোনো আসামির আইনজীবীকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের বিশেষ ব্যবস্থায় স্টেনোগ্রাফারদের মাধ্যমে জবানবন্দী টাইপ করা হচ্ছে। নিয়ম হচ্ছে উন্মুক্ত আদালতে সাক্ষী জবানবন্দী দেবেন, সেটিই রেকর্ড হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশে এসবের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকার আদালগুলোতে বিচারকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই, এটা তারা ভালো মতোই বুঝে গেছেন। তাই এখন বিরোধীদের আটকিয়ে ষড়যন্ত্র করে আবারো কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যায় সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ তাদের সকল অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।
এডভোকেট হেলাল আরও বলেন, সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে ও কারাগারে বন্দী রেখে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বন্ধ করতে চায়। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ও কোনো পেশীশক্তি দিয়ে এদেশ থেকে নিঃশেষ করা যাবে না বরং জামায়াত আরও বেশী শক্তি নিয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ। সরকার আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মিথ্যা মামলায় প্রহসনের বিচারে সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দী রেখেছিলো। এরপর যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান না করে হত্যা করেছে। অপরদিকে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম, সহঃ সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মুহা. সেলিম উদ্দিন সহ দেশ বরেণ্য আলেম ওলামাদের দীর্ঘদিন থেকে কারাগারে আটক রেখেছে। আমরা অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ সকল আলেম ওলামাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশবাসী রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদেরকে মুক্ত করে আনবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
মিছিল শেষে সমাবেশে অতর্কিত হামলা, লাঠিচার্জ ও গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে অসংখ্য নেতাকর্মীদের আটক করে তারা। এ ঘটনার তাৎক্ষণিক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি