বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে রাজধানীতে অসহায়, বেকার ও শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে রিকসা-ভ্যান, সেলাই মেশিন সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মন্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট, ইসলামপুর ও পুরান ঢাকা এলাকায় এই রিকশা-ভ্যান সেলাই মেশিন সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী দেলওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও সূত্রাপুর জোনের সহকারী পরিচালক এস এম আহসান উল্লাহ, মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কোতয়ালী থানা আমীর মতিইর রহমান, থানা সেক্রেটারি রায়হান উদ্দিন রিয়াদ, সূত্রাপুর থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, চকবাজার থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মুরাদ শাহীন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদূর্ভাবে দিনমজুর, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়িদের আয় হ্রাস পেয়েছে এবং দীর্ঘদিন কাজের পরিবেশ না থাকায় চাকুরী হরিয়ে বিরাট একটি অংশ বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে নিজ নিজ পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপনে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমতাবস্থায় আমরা জামায়াতের পক্ষ হতে এসব মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বেকারত্ব দুরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দুর্দশা লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণকামী আদর্শিক সংগঠন। সে কল্যাণকামীতার অংশ হিসেবেই বেকারত্ব দূরীকরনে আজ আমরা শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্দশা লাঘবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। সমাজের মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামী কর্মসুচী আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
জনাব ভূঁইয়া আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা মধ্যরাতের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্র কুক্ষিগত করে সোনার বাংলাদেশকে কলুষিত করেছে। তারা জন-মানুষের আশা আকাঙ্খাকে ধ্বংস করে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যবসা ও চাকুরী হারিয়ে বেকারত্বের যাঁতাকলে যুবসমাজ আজ অসহায়। ক্ষতিগ্রস্থ এসকল মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরনে সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত অপ্রতুল। সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। দেশের মানুষকে আজ নিজের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ও দুঃশাসনের কারণে স্বাধীনতার প্রায় ৫ দশক পরেও আমরা বিজয়ের সুফলগুলো পুরোপুরি ঘরে তুলতে পারিনি। তিনি মহান বিজয়কে অর্থবহ করতে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশ গড়ার প্রয়োজনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদাত্ব আহবান জানান।