রাজধানী ঢাকায় পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহঃ সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, পেঁয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে এই ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ চায় জনগণ। পেঁয়াজের মতো একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বর্তমানে পেঁয়াজের জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষ আর্তনাদ করছে অথচ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকার কিছুই করতে পারছে না। অপরদিকে ক্ষমতাসীনরা এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে উল্টো মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অবিলম্বে পেঁয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান অন্যথায় জনগণ তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আজ রবিবার বিকেলে পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলটি কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মোকাররম হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য দেলওয়ার হোসাইন ও আবদুল জববার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মাহবুবুর রহমান, বনি ইয়ামিন, আশরাফুল আলম ইমন, শাহীন আহমদ খান, আব্দুস সাত্তার, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলালী, ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি হাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ফয়সাল আমিন, ঢাকা কলেজের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. হেলাল বলেছেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি ও দেশীয় জোগান কম থাকায় নয়, কারসাজি করেই পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। দুষ্টচক্র সিন্ডিকেট এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ, সরকার দলীয় লোকজনই বাজারের কারসাজিতে লিপ্ত। ফলে সরকার মানুষকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করে দায়িত্বহীন পরামর্শ দিচ্ছেন। যা জনগনের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। পেঁয়াজ ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক জনগণের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। মূলত এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনদুর্ভোগ বাড়বে এটাই সত্য। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই অযোগ্য ও অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।