জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কোন অপরাধ নয় বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বানোয়াট। দেশবাসী সরকার প্রদত্ত এই ন্যায়ভ্রষ্ট রায় ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, হঠকারীতা, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সুবহান ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশ বাতিল করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন অন্যথায় আপনাদেরকেও একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। আজ শনিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বিশ্বরোড এলাকা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, কামাল হোসাইন, শামছুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল জাব্বার, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, আজম রুহুল কুদ্দুস, হাফিজুর রহমান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পি, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলালী, ঢাকা মহানগর পুর্বের সভাপতি হাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ফয়সাল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে কথিত বিচারের নামে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তারা রাজনৈতিক নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ সরকারের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষের উপর ভিত্তি করে যে রায় দেয়া হলো তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। তিনি সরকারের চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘ ৮ বছর যাবত কারাগারে বন্দী জীবনযাপন করছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনি সরকারের ফরমায়েশি রায়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন। তিনি এদেশের ইসলামী আন্দোলনের সাথে মিশে আছেন তাকে হত্যা করা সম্ভব হলেও তার আদর্শকে হত্যা করা যাবেনা । অতীতের কোন সরকার যেমন রাজনৈতিক নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি এ সরকারও পারবে না। জালিম ও ফ্যাসীবাদী এই সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের সকল হঠকারী সিদ্ধান্ত রুঁখে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।