রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, সরকার নেতৃত্বশূন্য করে দেশকে করদরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের এ ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে দণ্ডাদেশ বাতিল করে এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সরকারকে চরমমূল্য দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, কামাল হোসাইন, শামছুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, দেলওয়ার হোসাইন, আব্দুল জাব্বার, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শূরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মতিউর রহমান, মোহাম্মদ আল-আমীন, আব্দুর রহমান সাজু, বনি ইয়ামিন, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পুর্বের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারী আহমদ হোসাইন রাসেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দলন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ টি এম আজহারুল ইসলাম উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। তার পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে দেশের কোন থানায় মামলা তো দূরের কথা বরং কোন থানায় সাধারণ ডাইরীও করা হয়নি। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো সাক্ষীর মাধ্যমে একজন জাতীয় নেতাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনগণ সরকারের এহেন দেশ ও জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না বরং সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে প্রতিহিংসা ও হত্যার রাজনীতি পরিহার করে মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি সরকারের প্রতি আহবান জানান।