আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা গুলোর অদক্ষতায় সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বর মহামারী আকার ধারন করেছে। ডেঙ্গু তে আতংকিত না হয়ে তা প্রতিরোধ করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন ও জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বিনামুল্যে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।
শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সিনিয়র আইনজীবী ও সচেতন নাগরিক সমাজ ঢাকার আহবায়ক এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক শামসুর রহমান, বিশিষ্ট যুব সংগঠক কামাল হোসাইন, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দেলওয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সাংবাদিক আবদুল জব্বার, শ্রমিকনেতা হাফিজুর রহমান, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহিন হাসনাত, ডিইউজের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট জসীম উদ্দিন তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যাংকার আব্দুর রহমান সাজু, শিক্ষাবিদ নেসার উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, শিক্ষাবিদ মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সামাজ কর্মী মতিউর রহমান, বনি ইয়ামিন, শাহজাহান আলী, সমাজসেবক শামীমুল বারী, এস এম জুয়েল, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহিব্বুল ইসলাম, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম, তোফাজ্জ্বল হোসেন হেলালী, হাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ফয়সাল আমীন সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার জনসাধারণ ও সমাজ কর্মীবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার ও এডিস মশার বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পেরে সরকার ইতোমধ্যেই যথেষ্ট ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারে অযোগ্যতা ও অদক্ষতায় জনমনে ডেঙ্গু বেশ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ রোগের প্রতিকার এবং চিকিৎসা সম্পর্কে প্রকৃত ধারণার অভাবই এই আতঙ্কের মূল কারণ। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতায় পারে এরোগ প্রতিরোধ করতে। তাই এ রোগ সম্পর্কে সুষ্ঠুভাবে অবহিত হয়ে এ জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠন সহ আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল কাজই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানসমূহকে পরিষ্কার করতে হবে এবং পাশাপাশি মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল অবস্থায় আমাদের বাড়িঘর, উঠোন, বাড়ির ছাদ ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সমুহ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। বেশী পরিমানে তরল খাবার, ডাবের পানি ও ফলের রস খেতে হবে। জ্বরের মাত্রা বেশি ও অবস্থা খারাপ মনে হলে রোগীকে বাসায় না রেখে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য হাজারও ব্যর্থতার মাঝেও সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় সু-দৃষ্টি দিতে বর্তমান সরকারের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার ডেঙ্গুর মত মহামারী নিয়েও রাজনীতি শুরু করেছে। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন হলেও তারা বিভাজন ও ব্লেইম গেইমের রাজনীতি শুরু করেছে। তিনি সরকারকে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলার আহ্বান জানান।