“ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত করে শোষনমুক্ত, তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রেরণা দেয়” ঈদ শুভেচ্ছায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আয্হা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ত্যাগ ও কুরবানীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আয্হা সমাগত। এই সময়ে মানুষ সকল ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর রাহে নিজেকে সমর্পণ করে, ঈদুল আযহা আমাদের শুধু ত্যাগ ও কোরবানির প্রেরণায় দেয় না, সমাজে অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব, স¤প্রীতি ও সৌহাদ্রের বন্ধনকে আরো মজবুত করে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন- “বলুন, আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে”। (আন’আম-১৬২)
আমাদের মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর রাহে ত্যাগ ও কুরবানির মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ফলে তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্যেই আল্লাহ তা’য়ালা তার বান্দাহর উপর কেয়ামত পর্যন্ত কুরবানীকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। যাতে প্রতিটি মুসলমান তার নফসের উপর বিজয়ী হয়ে নিজের প্রিয় বস্তু, ধন-সম্পদ, চিন্তা-চেতনা আল্লাহর রাহে কুরবানি করে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানীর আদর্শে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষন ও বৈষম্য দূর করে একটি তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনূস্মরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। নেতৃবৃন্দ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে নগরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান এবং পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান। সেই সাথে যথাযথ মর্যাদা ও সুন্দর পরিবেশে নগরবাসীর ঈদুল আযহা উৎযাপন করার তৌফিক কামনা করে আল্লাহর কাছে দো’আ করেন।