আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রমে নতুন আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হয়েছে। মানবতার কল্যাণে নতুন এই এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নতুন এ্যাম্বুলেন্সের ডোনার ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান সহ বিভিন্ন থানা আমীরবৃন্দ।
এ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনের সময় নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, শত জুলুম-নির্যাতন ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে ঢাকাবাসী সহ দেশের মানুষকে ১০টি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে আসছি। সাধারণ মানুষকে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, অসুস্থ রোগী পরিবহন সহ মৃতদেহ পরিবহণ করে তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের এ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রমে নতুন আরও ১টি এ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হলো। আমাদের সূধী শুভানুধ্যায়ীদের একান্ত সহযোগিতায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত মানবসেবায় নানামুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছে। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশ-জাতিকে চরম সংকট ও অনিশ্চিত গন্তব্যের মধ্যে ফেলে সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করে চলছে। এমনই প্রেক্ষাপটে দেশের আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যেও আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ডেড বডি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন, বস্তি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন সহ ব্যাপকভিত্তিক জনকল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের এ সমাজকল্যাণমূলক কাজকে আরও বেগবান করতে সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে জনগণের ভোটের অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। নাগরিক হিসেবে মানুষের প্রাপ্য সব অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ আজ নানা সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। এমতাবস্থায় দেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জামায়াতে ইসলামী ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখে। তিনি সেই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।