জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালীম বলেছেন, শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছে। কিন্তু মহান বিজয়ের সাড়ে ৪৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও দেশে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা সাংবিধান স্বীকৃত হলেও সরকার তা হরণের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে দেশে জুলুমতন্ত্র ও ফ্যাসীবাদী শাসন কায়েম করেছে। তিনি শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ও শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহাগনরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুর নবী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আ জ ম রুহুল কুদ্দুস, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, নিজামুল হক নাঈম, উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শাজাহান খান, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলম ইমন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা হালীম বলেন, ভোটবিহীন অনির্বাচিত সরকার দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধবংস করেছে। তারা অঘোষিতভাবে দেশে বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। দেশে মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা নেই। বিরোধী মতকে দমনের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই বেশকিছু গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। এ সরকারের আমলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারি দলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সময়ের দাবি হলেও সরকার তা পাশ কাটানোর জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হতে দেবে না।