বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ নগরবাসীকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, নেতৃবৃন্দ বলেন, এলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত নিয়ে সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস। এই মাহে রমজান মানুষকে সংযমী হতে শেখায়। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন। সকল ভোগবিলাস, অপচয় অন্যায় ও অকল্যাণকর সবকিছু ত্যাগ করার শিক্ষা দেয় মাহে রমজান। এই পবিত্র মাসে মুসলমানগণ মন্দ সবকিছু পরিত্যাগ করে এবং সারাদিন পানাহার বর্জন করে মহান আল্লাহ্-তায়ালার সান্নিধ্য লাভের জন্য ইবাদৎ-বন্দেগী করে থাকেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ এই রমজান মাসে অনৈতিক ভাবে আয় উপার্জনের জন্য চরম অসততার পথ বেঁছে নেয়, যা চরম দুঃখজনক। এই সময় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যা সামাজিক ও ধার্মীয় দৃষ্টিকোনে বড়ই গর্হিত কাজ, এটা চরম অপরাধ। তাই মাহে রমজানে যারা নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ায় তাদের এই গর্হিত কর্মকান্ড দমন করা সরকারের কর্তব্য বলে আমরা মনে করি। প্রতি বারের মতো এ বারেও নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে বেশী মুনাফা অর্জনের জন্য যে অপতৎপরতা চলছে অথচ সরকার দেখেও না দেখার ভান করছে কেন! দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও পণ্যের দাম কেন বাড়ছে, তা চিহ্নিত করে কেন সরকার আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে! আতীতে দেখা গেছে রমজানে সাধারণত যানজট ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে থাকে। এ ব্যাপারেও সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদ উপলক্ষে এক শ্রেণীর মানুষ চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হয় এদের দৌরাত্ম্য থেকেও দেশবাসীদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে!
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ মহিমান্বিত মাসে আল্লাহ্-পাক পবিত্র কোরআন নাজিল করেন! যা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান! এই জীবন বিধানের আলোকে পবিত্র রমজান মাস আমাদের দেশের মানুষের জন্য আত্ম-ত্যাগ ও সংযমের মহিমায় সমুজ্জ্বল হোক! দেশের মানুষের জন্য সকল কল্যাণ বয়ে আনুক এই প্রত্যাশা রইলো। যদি সম্ভব হয় এই মাসে শুদ্ধ ভাবে কোরআনের অর্থ বুঝে পড়ুন। পারলে কোরআন খতম করুন বা প্রতিদিন যতটুকু পারবেন তেলওয়াত করুন। যদি কোরআন পড়তে না জানেন তবে এই মাসে শিখে ফেলুন। এ মাসকে চরিত্র সংশোধনের মাস হিসেবে কাজে লাগান। সকল প্রকার নৈতিক দূর্বলতা দুর করার উদ্যোগ নিন। পরিবার রাষ্ট সমাজ তথা গোটা দুনিয়ার সকল মোমিন- মেমিনাতের মংগলের জন্য বেশী বেশী দোয়া করুন।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, দেশ ও জাতি কঠিন সংকটে নিপতিত। দেশে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। সর্বত্র আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ দমনের চেয়ে রাজনীতিকদের দমনে ব্যস্ত। তাদের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার কারণে কোটা নামক সমস্যার এখনও কোন সুন্দর সুরাহা সম্ভব হয়নি। ইসলামের শাসনব্যবস্থা সর্বত্র কায়েম করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দমন-পীড়ন করে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। কারাগারে আটক অসুস্থ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তিও দাবি করেন তারা।