শুক্রবার ১লা বৈশাখ- ১৪২৪ শুভ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
শুভেচ্ছা বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১লা বৈশাখ শুভ বাংলা নববর্ষ। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশের জনগণ এ দিনটি আনন্দ-উৎসবের সাথে পালন করে আসছে। এ দিবসটি আনন্দের সাথে পালন করা আমাদের দেশের মানুষের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সুযোগে এই দিবসটিতে এদেশের অধিকাংশ মানুষের মূল্যবোধ ও জাতিসত্বা বিরোধী বিজাতীয় সংস্কৃতি সর্বস্তরে সুকৌশলে আমদানি করা হয়েছে এবং তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ারও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মহানগর দক্ষিণের আমীর বলেন, এমন এক সময় ১লা বৈশাখ শুভ নববর্ষ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে, যখন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক সংঘাত, অর্থনৈতিক স্থবিরতা, বিচার বহির্ভূত হত্যা-গুম ও সন্ত্রাসে ভরে গেছে। মানবাধিকার এবং আইনের শাসন আজ ভুলুন্ঠিত। জনগণ তাদের নিজেস্ব মূল্যবোধ ও ভাবধারায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত।
জনাব বুলবুল বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। পরিবারের সবাই একসাথে বসে সে সংস্কৃতি বা উৎসব উপভোগ করা যায়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল, আমরা আমাদের নিজস্ব ভাবধারার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেদেরকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়ে বিজাতীয়- নগ্ন, লাগামহীন, অপসংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়ছি। অপসংস্কৃতির সয়লাবে দেশীয় সংস্কৃতিকে দেউলিয়া করার নিমিত্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তা, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ বিরোধী এমন পদক্ষেপ কখনো এদেশের জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্য হতে পারেনা। এর ফলে তরুণ সমাজ নৈতিকভাবে ধ্বংস হবে, যা হবে জাতি বিধ্বংসী।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগমনী বাংলা নতুন বছরে বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক ভেদাভেদ দূর হবে, দেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে। এদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। পাশাপাশি নতুন বছর আমাদের সকলের জন্য অনাবিল সুখ-শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনুক এ কামনা করছি। তিনি নগরবাসীকে নববর্ষের এই শুভক্ষণে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে জুলুম মুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানান।