শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (৫ মে) বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা শেষে হাজারো ভক্ত, অনুরাগী ও ইসলামী আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের পরম ভালোবাসায় আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। দাফনের পর উপস্থিত সকলে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকা মাওলানা এটিএম মাছুম ও মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আব্দুর রব, আবু নাছের মোহাম্মদ আব্দুর জাহের, মোবারক হোসাইন; ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকন্দ; জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ; কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


এর আগে সকালবেলা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


এদিকে রোববার (৪ মে) রাতে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রথম জানাজায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা এবং দায়িত্ববোধের যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মজলুমদের পক্ষে তাঁর সাহসী লড়াই ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর ইন্তেকালে জাতি একজন প্রবীণ, খ্যাতিমান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও অভিভাবককে হারাল। বর্তমান সংকটকালে তাঁর মতো একজন দেশপ্রেমিক ও ইসলামপন্থী আইনজীবীর বড়ই প্রয়োজন ছিল। ইসলামী আন্দোলনের এই নিবেদিত প্রাণের মৃত্যুতে আমরা আমাদের এক অতি আপনজনকে হারানোর বেদনা অনুভব করছি। আল্লাহ তাআলা তাঁর গুনাহসমূহ মাফ করে দিন, নেক আমল কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।