বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার নীলনকশা করেছিলো বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার। তারা শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের নামে আমাদের সন্তান ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রমনা থানার উদ্যোগে ইসলামী আন্দোলনের সাবেক সাথী, সদস্য ও অগ্রসর কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইসলামি আন্দোলনে দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও বাইয়্যাত একটি অন্যটির পরিপূরক। ৫ আগস্টের বিজয়কে ইসলামী আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য কাজে লাগাতে হবে। এজন্য বাইয়্যাত গ্রহণ করার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানোন্নয়ন ও সংগঠন সম্প্রসারণের মাধ্যমে থানার প্রতিটি জায়গায় সংগঠন কায়েমের মাধ্যমে রমনা থানাকে ইসলামি আন্দোলনের দূর্গ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানার সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাবেক সাথী, সদস্য ও অগ্রসর কর্মী শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগরীর সহকারী অফিস সম্পাদক ও রমনা থানার সাবেক আমীর আব্দুস সাত্তার সুমন। শিক্ষা বৈঠক বিপুল সংখ্যক সাথী, সদস্য ও অগ্রসর কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সবুর ফকির বলেন, জামায়াতের কর্মীদের নৈতিকতার মানদন্ডে সর্বোচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দিতে হবে। দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আামাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া সমাজে প্রকৃত স্থিতিশীলতা আনয়ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে জামায়াত কর্মীদের।
যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমীর মো. শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান। কদমতলী থানা আমীর মীর বাহার আমিররুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী পূর্ব জোন টিম সদস্য মোহসিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে দারসুল কুরআন পেশ করেন তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সাবেক ভিপি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা নায়েবে আমীর মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা কর্মপরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক পাটোয়ারী, বোরহান উদ্দিন, মুজিবুল হক জামিল প্রমুখ।
এদিকে মুগদা পশ্চিম থানা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ইসলাম শুধুমাত্র একটা ধর্ম নয়, বরং পরিপূর্ণ জীবন ব্যাবস্থা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহ এবং রাসুল (সা) এর আনুগত্য করতে হবে। জেল-জুলুম, নির্যাতন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রশিক্ষণেরই অংশ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদেরকে সফলতা দান করবেন। যদি আমরা জান এবং মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, যারা (আওয়ামী লীগ) আমাদেরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন বরং তারাই আজ নিষিদ্ধ এবং নির্বাসিত। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুষ, দুর্নীতি, রাহাজানি সয়লাব হয়ে গিয়েছে। এগুলোর সমূলে মূলোৎপাটন করতে হবে। দেশকে গড়ার জন্য নিজেদেরকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশের কল্যাণে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
থানা আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি এ.কে.এম মুনীর হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এবং মুগদা-সবুজবাগ জোন পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য এবং মুগদা উত্তর থানা আমীর মাওলানা মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে দারসুল কুরআন পেশ করেন ঢাকা মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য এবং যাত্রাবাড়ী থানা আমীর মাওলানা সাদেক বিল্লাহ। উক্ত অনুষ্ঠানে সকল থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং ওয়ার্ড সভাপতি এবং সেক্রেটারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।