বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে আমাদেরকে আনুগত্যের সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করতে হবে। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতেও ইকামাতে দ্বীনের কাজে সক্রিয় থেকে ইসলামের বিজয়কে তরান্বিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও কোনো অপশক্তির সাথে আপস করেননি। জালিমের সকল জুলুমকে উপেক্ষা করে তারা এদেশে ইসলামের বিজয়কে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আমাদেরকেও কৌশল ও বিনয়ের মাধ্যমে সকল স্থানে সংগঠনকে তুলে ধরতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে নিজেদের মাঝে কোনো ক্ষোভ বা অভিমান রাখার কোনো সুযোগ নেই। আমরা কুরআনের আলোকে যে শিক্ষা অর্জন করেছি, ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে আমাদের সেই শিক্ষা, মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ জুমাবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী মধ্য থানার উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত দিনব্যাপি অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শিক্ষাশিবিরে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী মধ্য থানা আমীর অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জিন হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মাওলানা মো. ইমাম হোসেন এর পরিচালনায় অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন ও মাওলানা আবু ফাহিম। শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মীর বাহার আমিরুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দীন আহমেদ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. ইব্রাহীম হোসেন, এটিএম রেদোয়ান, মো. মোসলেহ উদ্দিন, মো. রিয়াসত আলী সর্দার, মো. মোবারক হোসেন, ডা. এম এ ফয়েজ ভূঁইয়া, ওয়ার্ড সভাপতি যথাক্রমে ড. পেয়ার আহমেদ, মো. দ্বীন ইসলাম, মো. শাহপরান, মো. মাইনুল ইসলাম, মোঃ রহমত উল্লাহ প্রিন্স, মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম, মো. জসিমউদ্দীন প্রমুখ।
আব্দুস সবুর ফকির বলেন, একজন ঈমানদার হিসেবে দুনিয়ার সুযোগ সুবিধা আমাদের জন্য অগ্রগণ্য না। আমাদের মূল টার্গেট হবে আখেরাতে চূড়ান্ত সফলতা। আল্লাহর দেওয়া বিধানের সাথে আমাদের সম্পর্ক যতো মজবুত হবে ইকামতে দ্বীন বিজয়ের কাজ ততো সহজ হয়ে উঠবে। ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করতে আমাদেরকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রেও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। দ্বীনের বিজয়ের জন্য আমাদের দাওয়াতি কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে ইসলামী আন্দোলনের সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে।
প্রধান আলোচক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাইয়াত বা শপথ ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য বাইয়াতের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বাইয়াতবিহীন মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু। বাইয়াত মানুষের জীবনকে সুন্দর, জ্ঞানগত পরিপূর্ণতা, মানুষের কল্যাণকামী ও উন্নত আমলের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও রাসূল সা. এর হাতে সাহাবাদের বাইয়াতবদ্ধ হওয়ার ঘটনা আল্লাহর কাছে এতো পছন্দ হয়েছিল যে মহান আল্লাহ্ ওহি নাযিল করে কুরআনের মাধ্যমে পুরো দুনিয়াবাসীকে তা জানিয়েছেন। তাই একজন মুমিন হিসেবে বাইয়াত গ্রহণের মাধ্যমে ইসলামে পরিপূর্ণ দাখিল হওয়ায় ঈমানের দাবি। তিনি আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলনের প্রত্যেক কর্মীকে নিজেকে প্রস্তুত করতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।