বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ইউনিট সংগঠনই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তিমূল। মূলত, ইউনিট সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত করা গেলেই মূল আন্দোলন গতিশীল হবে। তাই আমাদের প্রতিটি ইউনিটই হতে হবে মানসম্পন্ন ও ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণার বাতিঘর। রাজধানী ঢাকার এই জমিনকে ইসলামী আন্দোলনের অনুকূলে যথাযথভাবে চাষ করে পত্র-পল্লবে সুশোভিত করতে পারলেই আন্দোলনের বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারবে না বরং বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক গণসম্পৃক্ততা ও ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণ। ইউনিটভূক্ত এলকায় দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো ব্যাক্তি যেন আমাদের দাওয়াতের বাইরে না থাকে সে জন্য ইউনিট দায়িত্বশীলদের যথাযথ ভূমিকা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করার আহবান জানান।
তিনি আজ ৩১ মে জুমাবার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন উত্তর থানার উদ্যোগে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী একটি রিসোর্টে শিক্ষা সফর ও ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। শিক্ষা সফর ও ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও পল্টন উত্তর থানা আমীর মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি এডভোকেট সুলতান উদ্দিনের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ডঃ ইকবাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন পল্টন উত্তর থানার কর্মপরিষদ সদস্য এনামুল হক, আমিনুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন শান্ত, নুরুল আফসার, মাহবুবুর রহমান, আক্তার হোসাইন, মোশাররফ হোসেন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ইউনিট দায়িত্বশীলদের সংগঠনের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজের মানুষের কল্যাণ ও সেবার মাধ্যমে জনগণের পাশে থাকতে হবে। অহংকার, রিয়া ও নফস এই জিনিসগুলোর বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। এর মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে শুরু করে সংগঠনও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এই ব্যধিগুলো যেন ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি দায়িত্বশীল ভাইদের ভিতরে না থাকে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয় বরং ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মাত্র। তাই জালিমের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনকে বেগবান করতে ইউনিট দায়িত্বশীলদের অকূতোভয় ও আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জনগণের ভোট ছাড়াই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার বিগত ১৬ বছর ধরে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত বসে আছে। ক্ষমতাসীনদের বেপরোয়া লুটপাটে দেশের ব্যাংক গুলো আজ দেউলিয়ার পথে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার উন্নয়নের যিকির তুলে এদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে। আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম ও নৈতিকতাকে সরিয়ে দিয়ে এদেশের ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করা হচ্ছে। আধিপত্যবাদের দোশর এই সরকার এদেশের ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে সকল প্রকার জুলুম-নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সকল চ্যালেঞ্জ মুকাবেলা করেই জনগণের অধিকার আদায়ে জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীলদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।