পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে নগরবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তায় মহানগরী নেতৃবৃন্দ বলেন, কুরআন নাজিলের মাস পবিত্র রমাদান আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে। মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় তথা তাকওয়ার গুণাবলি সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর বিধান মেনে চলার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের মধ্যে আগমন করছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার সমাপনী অনুষ্ঠান হলো ঈদুল ফিতর। আমরা আজ এমন এক সময় ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় গণহত্যার ফলে গাজা অঞ্চল মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা প্রিয় ঢাকা মহানগরীবাসী সহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদ মুসলমানদের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। আমাদের জাতীয় জীবনেও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের উৎসবে মুসলিম উম্মাহ শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বিশ্ব গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করে। রমাদানের দাবি হলো কুরআনের আলোকে একটি তাকওয়া ভিত্তিক ইসলামী সমাজ কায়েম করা। রাসূল (সাঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আদলে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষ সেখানে সত্যিকারভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হবে। তারা বলেন, সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে প্রায় এক যুগ ধরে জামায়াতের শীর্ষনেতা এ টি এম আযহারুল ইসলাম কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ক্ষমতাসীনরা বিপরীত মতকে স্তব্ধ করার জন্য দেশের বরেণ্য আলেম ওলামাকে কারাগারে আটক রেখেছে। আমরা রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঈদের আনন্দকে ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধনে পরিণত করতে সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বেইলী রোড, ডেমরা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও অসংখ্য বিপদ-মুসিবতে মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে আদর্শবাদী ও গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীও সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘবে ব্যাপক ভিত্তিক ঈদসামগ্রী বিতরণ ও ত্রাণতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এইসব ক্ষতিগ্রস্ত সহ দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র ও সঙ্গতিহীন মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ঈদের আনন্দকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান সহ সকলের প্রতি আহবান জানান।