বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সেলাই মেশিন উপহার প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খানের সঞ্চালনায় সেলাই মেশিন উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরীফ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, জামায়াত নেতা আবু নোমান, শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সেলাই মেশিন উপহার প্রদানকালে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (সা:)। তিনি অসহায় মানুষের সেবা করে আমাদেরকে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজের কর্মক্ষম নারী-পুরুষের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিচ্ছি। গত বছরেও আমরা রাজধানীর পাঁচ শতাধিক পরিবারে সেলাই মেশিন উপহার প্রদান করেছিলাম। জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী, গণমুখী ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত ও অসহায় মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের শত নিপীড়নের মধ্যেও জামায়াতের মানবতার কল্যাণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি সামর্থ্যবানদের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমাজের বেকার কর্মহীন মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না, সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার আজ বিবেক শূন্য হয়ে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাপনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সাধারণ মানুষের আজ নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার দলীয় লোকেরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে ইসলামে নিষিদ্ধ মদের শুল্ক ফ্রি করে খেজুরের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপরদিকে দেশের মন্ত্রীরা ইফতারের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে বক্তব্য দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে জনগণ মুক্তি চায়, দ্রব্যমূল্যের নিষ্পেষন থেকে পরিত্রাণ চায়। আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে এই রমাদানের মাসে ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতির জন্য আপসোস যে, ৯০% মুসলামানের এই দেশে রমাদানের সিয়াম পালনেও বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারী করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘোষণা দিয়ে কুরআনের শিক্ষা বা ইফতারের মাহফিল করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ইফতারের মত অনুষ্ঠানে হামলা করে মানুষকে রক্তাক্ত করছে। শুধুমাত্র কুরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের শাস্তি দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের শোকজ করা হচ্ছে। আমরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এজাতীয় হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ইসলাম বিদ্বেষী এই অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।