বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল পুর্ব থানার উদ্যোগে আজ ১৭ই মার্চ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা বৈঠক ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রুকন শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নুরুল ইসলাম বুলবুল।
মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল পুর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ নুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও মতিঝিল জোনের সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মতিঝিল পুর্ব থানা সেক্রেটারি খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য মোতাসিম বিল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য জসিমুল হক পাটোয়ারী, আমিরুল মোমীনিন তালুকদার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমযান মাস কুরআন নাযিলের মাস, তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমযানের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে যাবতীয় পাপাচার ও অনাচার থেকে মুক্ত থেকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা। এ মাসে মহান আল্লাহ বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ আল কুরআন নাজিল করেছিলেন বলেই এ মাসের মর্যাদা অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি। কুরআনের আলোকে সমাজ পরিচালিত হলে সমাজে অন্যায়, অনাচার, জুলুম, নির্যাতন থাকতো না। এজন্য কুরআনের জ্ঞান-সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আনতে পারলেই ন্যায়-ইনসাফ ও শান্তির সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব। ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ছাড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সামাজিক বৈষম্য ও ধনী-গরিবের ব্যবাধান কমিয়ে আনতে মাহে রমযান হচ্ছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি আরো বলেন, দেশে কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আজ ইসলাম বিরোধী শক্তি ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দিতে নানামুখী অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। আল কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় নব্য জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে মানবতাকে মুক্ত করে সমৃদ্ধ ও ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাই তিনি ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সরকার রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তিনি অবিলম্বে সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।