বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ভোটারবিহীন এই অবৈধ সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে রোজাদারদের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সারাবিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সরকার তার জনগণ যেন সুন্দরভাবে সেহরি ও ইফতার করতে পারে সেজন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যহ্রাস করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য যে, এদেশের সরকার দলীয় লোকদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবনকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। এমনকি ইসলামে নিষিদ্ধ মদের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে অপরদিকে ইফতারে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত খেজুরের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী সরকার জনগণের সমর্থনে বা ভোটে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে নাই। ফলে এদেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই পরিস্থিতিতে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী এদেশের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সুন্দরভাবে সিয়াম পালনের জন্য আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে আলোকে সেহরি ও ইফতারের ফুড প্যাকেট আমরা তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। তিনি দেশে চলমান নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী উত্তর থানার উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে সাহরি ও ইফতারির ফুড প্যাকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী উত্তর থানা আমীর মাওলানা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মো. রাসেল মাহমুদের সঞ্চালনায় ফুড প্যাকেট বিতরণে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. হাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুর রহীম জীবন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন থানার কর্মপরিষদ সদস্য সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা মাহে রামাদানে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে নানাবিধ সহযোগিতার কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফার অন্যতম দফা হচ্ছে ‘সমাজ কল্যাণ ও সমাজ সংস্কার’ কর্মসূচি। সে লক্ষ্যে সমাজের উন্নয়ন সাধনে জামায়াত নিরলস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা এখানে আজকের এই ফুড প্যাকেট বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। মানুষের স্বাভাবিক আয় ইনকাম দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বিগত বছর গুলোতে করোনা, দুযোর্গ, অগ্নিকান্ড বিভিন্ন সংকটে আমরা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবারো এই রমাদানকে সামনে রেখে আমরা মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ হতে রাজধানীর থানায় থানায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে ফুড প্যাকেট পৌঁছিয়ে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে বরাবরই জনগণের যেকোন বিপদ-আপদে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর এই গণমুখী প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা অনুযায়ী যারা সামর্থ্যবান তাদের সম্পদে অসহায় ও দরিদ্রদের অংশ রয়েছে। তাই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি সহ সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।