১লা মার্চ থেকে দেশে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল হক, মহানগরীর সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, মোতাসিম বিল্লাহ, নুর উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পুর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আলাউদ্দিন শেখসহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের বিভিন্ন থানা আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ এমনিতেই বিপর্যস্ত। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতেই তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তার উপরে উন্নয়নের বুলি আওড়ানো আওয়ামী সরকার দাম সমন্বয়ের নামে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের জীবনকে আরও দুর্বিসহ করে তুলেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যও বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুৎ বিভাগে চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সরকার গ্রাহকদেরকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সমন্বয়ের নামে পর্যায়ক্রমে ১৫ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকার আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। আমরা সম্পুর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই গণবিরোধী এই সিদ্ধান্ত প্রতাহারের দাবী করছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোট বা সমর্থন ছাড়াই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে। ফলে জনগণের প্রতি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমদানি রপ্তানির নামে ডলার পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষ জড়িত নয়। অথচ এর দায় সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হচ্ছে। এই অবৈধ সরকার নিজ দলীয় লোকদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশে সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে, তেমনি সরকার ও আওয়ামী লুটপাটকারীদের দায় এড়ানোর পথ তৈরি করবে। এমতাবস্থায় দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বসে থাকতে পারেনা। জনগণের দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। আজকের এই বিক্ষোভ মিছিলে গণমানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে সকল ধরনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জনগণ তার দাবি আদায় করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালনের জন্য এই স্বৈরাচার সরকার আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় প্রায় ১৬ মাস থেকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। আমরা অবিলম্বে আমীরে জামায়াত সহ সকল রাজবন্দী ও আলেম ওলামার মুক্তির দাবী জানাচ্ছি। জুলুম নিপীড়ন করে, মামলা দিয়ে, কারাগারে বন্দী করে প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করা যাবেনা। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে তারা সোচ্চার জামায়াতে ইসলামী অতীতেও ভুমিকা পালন করে এসেছে ভবিষ্যতেও তা করবে ইনশাআল্লাহ।