বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে রাজনীতি করে, কারো দাসত্বের রাজনীতি করে না। আমাদের অভিভাবক পাশ্চাত্য বা পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র নয় বরং আমাদের একমাত্র অভিভাবক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আওয়ামী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে অন্ধকার গলি পথ দিয়ে এদেশকে পরিচালনা করেছে। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে দিচ্ছে। ফলে দেশপ্রেমিক শক্তির ভয় ও আতংকে আজকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলতে বাধ্য হচ্ছেন, না জানি কখন কি হয়ে যায়। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামীকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। আল্লাহর অসীম রহমতে তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। সরকার সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে এক পাল্লায় আর শুধু জামায়াতে ইসলামীকেই ভিন্ন পাল্লায় রেখে দেশবাসীর কাছে প্রমাণ করেছে যে, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই। এদেশের মানুষের কাছে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে বেশি। ফলে খুব শীঘ্রই এদেশের জনগণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের মত সুসংগঠিত, সু-শৃঙ্খল আলোকবর্তিকাকে বেছে নেবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কদমতলী উত্তর থানার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কদমতলী উত্তর থানা আমীর এম, এ রহিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আবু জারিফ, থানা সেক্রেটারি এবি ছিদ্দিক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ওমর ফারুক, কামাল আনসারী, মোহাম্মদ দুলাল, মাও: মুজাইয়েনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে, নেতাকর্মীদের উপরে অব্যাহত জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের শাহাদাতের মৃত্যু বৃথা যেতে পারে না, এর বিনিময়ে এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আগামীদিনে জনগণের সমর্থন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ। আর এভাবেই এই জমিনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামের বিজয় দান করবেন। বিগত পনের বছর ধরে নির্যাতন নিষ্পেষণ চালিয়ে আমাদের একজন রুকন তো বহু পরের কথা সামান্য সহযোগীকেও তারা পরাস্থ করতে পারে নাই। লোভ, লালসা, টাকা দিয়ে জামায়াতের জনশক্তিদের কেনা যায়নি, যাবেও না। এটাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরাট বিজয়। জামায়াতের কর্মীরা বার বার কারাগারে গিয়েছে আবার জামিনে এসে কারাগারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কাজ করে গেছে। তবুও কোনো অন্যায় জুলুমের কাছে মাথা নত করেনি। এখনও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি।
তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের জন্য আধিপত্যবাদের দোশর হিসেবে এই সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর হাত দিয়েছে। ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ঈমান ধ্বংসকারী পৌত্তলিকতা ও সমকামীতা শিক্ষা দিচ্ছে। আমাদের নিজস্ব তমুদ্দুন ও সংস্কৃতিকে শেষ করে দিয়ে অপসংস্কৃতির ছয়লাবে দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছে। তারা তরুণ প্রজন্মের ঈমান ও নৈতিকতাকে শেষ করে এদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, এদেশে যতদিন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির থাকবে ততদিন আপনাদের পাহাড় সমান ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে এদেশের তরুণ-যুবকদের সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ।