বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন। আমরা নিজেদের নেতৃত্বের পরিবর্তনে যেভাবে গণতন্ত্র চর্চা করি সেভাবে যদি দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতো তাহলে সত্যিকার অর্থেই দেশে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতো। কোনো স্বৈরাচার এদেশের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে পারতো না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার জুলুম নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা মিথ্যা অপবাদ ও সাজানো মামলা দিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে জুলুম-নিপীড়ন চালাচ্ছে। কিন্তু তারা জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ধৈর্য্য, সাহসিকতা ও ত্যাগের বিনিময়ে জামায়াতে ইসলামী সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের খিলগাঁও দক্ষিণ থানার সেট-আপ ও নব-নির্বাচিত আমীরের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সদ্য বিদায়ী থানা আমীর আশরাফুল আলম ইমনের সভাপতিত্বে সেট-আপ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে খিলগাঁও পশ্চিম থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল আমিন ও খিলগাঁও পুর্ব থানা আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান, খিলগাঁও দক্ষিণ থানার নব-নির্বাচিত আমীর সাজেদুর রহমান শিবলী। খিলগাঁও মধ্য থানার সাবেক সেক্রেটারি খোরশেদ আলম মজুমদার সহ খিলগাঁও দক্ষিণ থানার কর্মপরিষদ সদস্য, ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
আব্দুস সবুর ফকির বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিয়ে কোন কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াত সম্মুখে থেকে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেছে। ফলে জামায়াতকে বাদ দিয়ে দেশের রাজনীতিতে মেরুকরণ অসম্ভব। আমরা ইসলামের সু-মহান আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশে মদিনা রাষ্ট্রের মত একটি সোনালী সমাজ ব্যবস্থা গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কুরআন ও হাদিসকে অবলম্বন করে আমরা একদল সোনার মানুষ তৈরি করেছি। যারা সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত থেকে ৫ বছরে ৩ টি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে দেখিয়ে গেছেন কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়। জবাবদীহিতা ও আল্লাহর ভয় না থাকলে কোনো মানুষকে সৎ রাখা যায় না। জামায়াতের নেতৃত্ব সে বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আমরা এদেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের শ্লোগান আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। অন্যায়ভাবে জামায়াতের প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবুও জনগণের অন্তরে জামায়াতের ভালোবাসা বহুগুণে বেড়ে গেছে। জনগণের আস্থার জায়গায় জামায়াতের নেতৃত্ব পৌঁছিয়ে গেছে। ফলে সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ সহ স্থানীয় নির্বাচনে জামায়াতের প্রতি জনসমর্থন আশার আলো হয়ে উঠেছে। তাই দেশ থেকে সকল অন্যায়-জুলুমকে উৎখাত করে সু-শাসন ও জনগণের সত্যিকার মুক্তি নিশ্চিত করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে ভুমিকা পালনের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।