বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আমাদের এই দেশ আজ দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিকতার গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামী আলোকবর্তিকা হিসেবে অন্ধকারাচ্ছন্ন এই সমাজ ব্যবস্থাকে আলোকিত করে চলেছে। এদেশের মানুষ তার নিজ প্রয়োজনেই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের খুঁজে ফিরবে ইনশাআল্লাহ। কারণ দেশের আপামর জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বিকল্প আর কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু নেই। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের কাছে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রমনা থানার উদ্যোগে আয়োজিত রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার সুমন।এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রমনা থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু মুসা, নাসির উদ্দিন, হাফেজ মাও. মিরাজুল ইসলাম শামীম, আহমাদ আলী সরকার, মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকৌশলী মুবাশ্বেরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) যে আদর্শের মাধ্যমে তার সাথীদেরকে নৈতিকতায় সমৃদ্ধ করে একটি সোনার মদিনা রাষ্ট্র তৈরী করেছিলেন। জামায়াতে ইসলামীও সেই আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশে একদল মানুষকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আজকে জামায়াতের চরম শত্রুও একথা বলে যে, নৈতিকতা সম্পন্ন ভালো মানুষ হিসেবে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা দেশে সবচেয়ে বেশি। আমরা যেহেতু সোনার মানুষ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজ এদেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে সত্যিকার নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে দেখতে চায়। দেশে যদি নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে দেশের অধিকাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে গ্রহণ করতে ব্যাকুল হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে এদেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সীমান্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলো আমাদের লাশ উপহার দিচ্ছে অথচ নতজানু এই সেবা দাস সরকার তার কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করছে না। জাতীয় সংসদেও এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা নেই। আজ উন্নয়নের যিকির তুলে এদেশের মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম ও নৈতিকতাকে সরিয়ে দিয়ে এদেশের ছাত্র ও তরুণ প্রজন্মকে পশুতে পরিণত করা হচ্ছে। যার নজির আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মাধ্যমে দেখতে পাই। পত্রিকার পাতায় দেখা যায় প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতে গেলেও আজ আমাদের মা-বোনদের কাছে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি এই প্রশাসনকে এবং এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে। সরকার আয়নাঘর তৈরী করে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আযমী, শিবির নেতা ওয়ালিউল্লাহ, মুকাদ্দাসসহ অসংখ্য মানুষকে গুম করে রেখেছে। ইতিহাস সাক্ষী অতিতে কোনো স্বৈরাচার সরকার জুলুম নির্যাতন চালিয়ে পার পায়নি আপনারাও পাবেন না ইনশাআল্লাহ।