বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রীতি সমাবেশ-২৪ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় প্রীতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ সহ সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
প্রীতি সমাবেশে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমাদেরকে ব্যক্তি জীবন, কর্মজীবন ও পারিবারিক তথা বৈবাহিক জীবনে ইসলামের বিধি-বিধান সম্পূর্ণ রূপে মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেবল আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের প্রকৃত সফলতা দান করবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের নেতৃত্বের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে আসে। এজন্য দ্বীন কায়েমের এই কাজে শিবিরের সদ্য বিদায়ী নেতৃত্বকে সচেতনভাবে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে বাংলার জমিনে ইসালামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এদেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এমতাবস্থায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যে বিবেক দিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই আমরা তার বিরুদ্ধাচারণ করবো না। ইসলামের যেটুকু ইলম অর্জন করেছি, কোনো অবস্থাতেই যেন আমাদের ইলম ও আমল পরস্পর বিপরীত না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আজকে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় এদেশের মানুষকে স্বৈরাচার ফ্যাসীবাদী শক্তির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ছাত্র আন্দোলনের সদ্য বিদায়ী নেতৃবৃন্দকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যে কোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার জন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হচ্ছে সবচেয়ে বড় ফরজ। সব নবী-রাসূল এই মিশন নিয়েই দুনিয়ায় এসেছিলেন। ফলে ছাত্রজীবন শেষে এই আন্দোলন থেকে অব্যাহতি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে জাতির নেতৃত্বের সঙ্কট পূরণে ছাত্রশিবিরের বিদায়ী নেতৃত্বকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুল ইসলাম পলাশ বলেন, ইসলামী আন্দোলনের বৃহৎ পরিসরে নিজেদেরকে আরও ভালো ভাবে মেলে ধরার জন্য বিদায়ী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। হাজারো মানুষের ভিড়ে মহান আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে কবুল করেছেন, এজন্য আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার পাশাপাশি এই আন্দোলনে যেন আমৃত্যু টিকে থাকতে পারি সেই দোয়া কামনা করছি।
এসময় সদ্য বিদায়ী ছাত্র নেতৃবৃন্দকে ফুল ও বই দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং নেতৃবৃন্দকে ছাত্রজীবনের ইসলামের রঙে রাঙ্গানো অতীতকে ধারণ করে বৃহত্তর অঙ্গনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়।