ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রহসনের তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নজিরবিহীনভাবে ভোট বর্জন ও সর্বাত্মক হরতাল পালন করায় রাজধানী ঢাকাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবীতে এবং প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট দান হতে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলো রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে লাগাতার আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গণসংযোগ ও ব্যাপকভাবে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছিলো। রাষ্ট্রযন্ত্রের হাজারো জুলুম নিপীড়ন সত্বেও বিরোধী দলসমূহের আন্দোলনের পাশাপাশি অধিকার বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ জনগণ সকল প্রকার ভয়ভীতি ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সরকারের একতরফার তামাশার নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে সতস্ফুর্তভাবে ভোট বর্জন করেছে। এজন্য আমি রাজধানী ঢাকাবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে। অনেকের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলো যারা ভোট দিতে আসবেনা তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবে। সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নাটক মঞ্চস্থ করে জনগণের সাথে যে নির্মম উপহাস ও প্রতারণা করতে চলেছিলো সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে ভোট বর্জনের মাধ্যমে জনগণ তার সমুচিত জবাব দিয়েছে। ভোটার শুন্য ভোটকেন্দ্র গুলোই প্রমান করে সরকারের এই প্রহসনের নির্বাচনের সাথে সাধারণ জনগণের কোন সম্পর্ক নাই। এমনকি বিবেকবোধ সম্পন্ন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণ জনগণ ভোট বর্জন করা সত্বেও আওয়ামী লীগ জাল ভোট প্রদান ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটের হার বৃদ্ধির ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। মুক্তিকামী সংগ্রামী জনতা স্বৈরাচারী সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই এদেশে বাস্তবায়ন করতে দিবেনা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দুঃশাসন, অব্যাহত জুলুম-নির্যাতন এবং রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধ্বংসের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভোটাধিকারসহ জনগণের অধিকার আদায় এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ জনগণ শত বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায় করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা পালনের জন্য আমি রাজধানী ঢাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।