বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে আজ রাজধানীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও শাজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর আবু আম্মারের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক, থানা সেক্রেটারি সারোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী, গণমুখী ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। সরকারের শত নিপীড়নের মধ্যেও জামায়াতের মানবতার কল্যাণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি সামর্থ্যবান ব্যাক্তিদের এসব অসহায় মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, সমাজের অসহায় মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না, সামর্থ্য অনুযায়ী শীতবস্ত্র, কম্বলসহ বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে বিবেক শূন্য হয়ে জুলুমের পথ বেঁছে নিয়েছে। তারা দেশের মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে, অন্যায়ভাবে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আজকে বাড়িতে পুরুষ মানুষ না পেয়ে ঘরে অবস্থানকারী মা-বোনদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বাপকে ধরতে এসে ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার দেশের মানুষের উপর জুলুম করতে করতে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। জুলুম নির্যাতন যত বাড়বে ততই স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, এই স্বৈরাচার ভোট ডাকাতদের এদেশের জনগণ আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ মুক্তি চায়, জনগণ দ্রব্যমূল্যের নিষ্পেষন থেকে পরিত্রাণ চায়, মানুষ স্বস্তিতে বসবাসের উপযোগী একটি বাংলাদেশ চায়। এজন্য এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দাবি করছে। সময় এসেছে এখন এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠিনতর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে তাদের পতন নিশ্চিত করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে ইনশাআল্লাহ।
মতিঝিল থানায় শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল উত্তর থানার উদ্যোগে আজ রাজধানীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল উত্তর থানা আমীর মুতাসিম বিল্লাহর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক, নানা সেক্রেটারি ওমর আব্দুল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইমাম হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. আব্দুল মান্নান বলেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে ব্যস্ত থাকায় তীব্র শীতের মাঝেও শীতার্ত মানুষের দিকে তাকানোর সুযোগ পাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় চরম জুলুম নির্যাতনের মাঝেও দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী এসকল অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী সরকারের এই একতরফার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই অবিলম্বে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল বাতিল করে সবার আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত এবং জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শ্রম বিভাগের উদ্যোগে আজ রাজধানীর শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। শীতবস্ত্র বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম, জুবায়ের আল মাহমুদ, মাওঃ হাফিজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মীর জুলহাস, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় আব্দুস সালাম বলেন, মেহনতি মানুষের শ্রমের উপরে ভিত্তি করেই রাষ্ট্রের সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে। অথচ এই শ্রমিকেরাই সর্বক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অধিকার বঞ্চিত। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ সরকার শ্রমিকসহ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ হয়নি। এই ২০২৪ সালেও প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করতে হবে, ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।