বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১০ ডিসেম্বর রোববার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা, গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং ৬ জনকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিবৃতিতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আজ ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানবাধিকারকেই চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনায় সচেতন মহল সহ দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। আমি এই ন্যাক্কারজনক হামলা ও ৬ জনকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের সভা-সমাবেশের অধিকার দিয়েছে অথচ আওয়ামী সরকার দীর্ঘ পনের বছর ধরে জামায়াতে ইসলামীর উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। আমাদের সারাদেশের অফিস গুলোকে বন্ধ করে রেখেছে, রাজপথের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি গুলোও পালন করতে দিচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। রাজধানী জুড়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অব্যাহতভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হামলা চালিয়ে, গ্রেফতার করে, জুলুম-নির্যাতন ও দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নাগরিকগণ নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, ফলে তারা গ্রেফতার ও নির্যাতন চালিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠ গুলোকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতি জনগণের আর কোনো আস্থা নেই, তারা আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ফলে এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ আজ জেগে উঠেছে। আমরা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সরকারের অন্যায় তাবেদারির পরিবর্তে দেশ ও জনগণের পক্ষে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার এবং এসব অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আমি ঢাকাবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।