ঘোষিত ১৯ ও ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তফসিল প্রত্যাহার, সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামার মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর হরতালের সমর্থনে পিকেটিং বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। এই হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন স্থান হতে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই অবৈধ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ জানিয়ে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে চরম জুলুম চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থাসহ জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। জামায়াত সর্বাবস্থায় জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরিদিকে পুলিশ প্রশাসন গতকাল ধানমন্ডি সড়কে শান্তিপূর্ণ মিছিলে সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে বাধা প্রদান করে এবং সেখান থেকে গণগ্রেফতার করে নেতাকর্মীদের আটক করে। আমি এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার আমাদের অধিকার হরণ করে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে চরম জুলুম করেছে। সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে অতীতে কোন সরকারই বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও দেশের জনগণের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে খুব বেশী দিন টিকতে পারবে না। অন্যদিকে সর্বাত্মক ভাবে হরতাল সফল করায় তিনি রাজধানী ঢাকাবাসীকে অভিনন্দন জানান।